MON KHEROR KHATA

MON KHEROR KHATA
Memories

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

যদি হয় সুজন,কলাপাতায়......
আমার এই বাউল জীবনে অনেক পাগলের দেখা পেয়েছি শান্তিপুর থেকে শান্তিনিকেতন, কোলাঘাট থেকে কোলকাতায় কিন্তু খোদ কোলকাতায় এমন খ্যাপা খেপির সন্ধান পাব স্বপ্নেও ভাবা ছিল না।ছেলেটি বদ্যি বাঙাল মেয়েটি মেদিনীপুরের ঘটি।মেয়েটি যতটাই বকবক করে ছেলেটি ঠিক ততটাই চুপচাপ।মেয়েটি যাচাই না করেই যাকে তাকে আপন ভেবে ঠকে আর ছেলেটি যাচাই করেই ঠকতে চেয়েই ঠকে।মেয়েটি যদি উত্তর হয়,ছেলেটি প্রশ্ন।ছেলেটি অরূপ দাশগুপ্ত,মেয়েটি সুদীপ্তা বোস।ওদের দুজনের হাজারটা অমিলের মধ্যে একটাই মিল ওরা দুজনেই আন্তরিকভাবে বাম রাজনীতিতে বিশ্বাসী।পার্টি যখন ক্ষমতায় তখন আর পাঁচজনের মতো গুছিয়ে নেবার সদস্য নয়।ওরা নিজের নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়েই রাজনীতি আর কাজনীতি চালিয়ে যেত।
ওদের দুটোকে প্রথম দেখি ৬৬ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোড, কলকাতা-নয় এ গণনাট্য সংঘের দপ্তরে সন্ধ্যে নামলে।তখন গণনাট্য পত্রিকা ও গ্রুপ থিয়েটার পত্রিকা দপ্তর এক ঠিকানায়,এক ছাতার তলায়।গণনাট্য দপ্তরের বাবলু দাশগুপ্ত যখন শেষ বেলায় পত্রিকা প্রকাশের তাড়ায় প্রুফ না পেয়ে পায়চারি করতে করতে হতাশ হয়ে বসে পড়েছে ঠিক তখন এক সুন্দরী যুবতীর উপস্থিতি এক তাড়া প্রুফ হাতে দপ্তরে বিশুদার সামনে।তার পিছনে পরম নিশ্চিন্ত ভাবে যুবকের প্রবেশ।বিশুদার ততোধিক যান্ত্রিক নিষ্ঠায় ঘোষণা-‘বাবলুদা ভিতরে আছে’ বলেই সকালের গণশক্তি পত্রিকায় রাত্রির নিবিড় মনোনিবেশ নয়ত হিসাবের পাতায় জমা খরচের নিখুঁত উত্তর মেলানোর নিরলস প্রয়াস।
আশুদা(সেন)তখন হয়ত গ্রুপ থিয়েটার দপ্তরের থেকে আমাকে ডেকে ওই ছেলে মেয়েটির সংগ্রামী প্রয়াসকে সাহায্য করার জন্যে আমাদের পত্রিকাকে ওদের কাজ দিতে বলছেন।শিশিরদা(সেন)কিছু না বলে শুধু একবার চাইলেন আমার দিকে।বুঝলাম উনিও তাই চান।আর বিমলদা বলে উঠলেন_’বাঙালি ব্যবসা করতে ভুলে গেছে’।এরা  ছিলেন চিরকালের চিরকুমার।তবু সংসার পাততে চাওয়া কমরেডকে সাহায্য করার চেষ্টা।পরে জেনেছিলাম বাবলু দাশগুপ্ত আর অরূপ দাশগুপ্ত একটা বদ্যিতুতো সম্পর্ক ছিল আর বাবলুদা ও শিশিরদা ছিলেন মামাতো পিসতুতো দাদাভাই।কায়েত বামুনদের মতো না তার চেয়েও বেশি বদ্যিদের মধ্যে ‘কমিউনিটি ফিলিং’।ওই অনুভবটা প্রায় ‘জর্মন’দের মতো।
সুদীপ্তা অরূপের কম্পোজের হাত ছিল মারাত্মক দ্রুত।ওদের ওটা ছিল স্বাধীন প্রচেষ্টা।ওরা উল্টোডাঙার সরকারি আবাসনে বসেই কম্পিউটরে কম্পোজের কাজ করে দিত আমরা সেটাকেই সত্যযুগ দপ্তরে অফসেটে ছাপতাম।এক সময় ওরা দুজন সত্যযুগ দপ্তরের কাজও শুরু করল।তার পর সত্যযুগ যখন সান্ধ্য পত্রিকা বের করল আমার সংগে ওরাও জুটে গেল।তখন ওদের বিয়ে হয়ে গেছে।
সুদীপ্তারূপ-এর বিয়ে ১৯৯৮ এ আমার মেয়ে তিথি হবার প্রায় এক মাস পরে জুনের একুশে।ওরা যখন চুটিয়ে প্রকাশনার কাজ করছে তখন আচমকাই অরূপ চা বাগানের ম্যানেজারির চাকরি নিয়ে আসাম চলে গেল।আমরাও ততোদিনে নিজেদের কম্পিউটরে কম্পোজ করে সত্যযুগে প্রিন্ট করি।যোগাযোগটা ছিন্ন হবার কথা কিন্তু কমিউনিস্টরা ফিউডাল পরিবারের মতোই গায়ে গায়ে লেগে থাকতে ভালোবাসে যদি তাদের কিছু একটায় সাদৃশ্য থাকে।এখানে সাদৃশ্যটা বোধহয় না গুছিয়ে নেবার না ‘কামিয়ে নিস’এর।অরূপ বাবা-মা থাকতেও অবিবাহিতা মাসির কাছেই মানুষ।আর সুদীপ্তারা ছিল হাতের পাঁচ আঙুলের মতো-বাবা-মা-সুদীপ্তা-পিংকি-টুটুন।হাতের পাঁচ আঙুল যেমন এক মাপের হয় না সুদীপ্তারাও তাই।এখন ওদের বুড়ো আঙুলটাই নেই।রবি বোস ছিলেন ওদের বাবার চেয়েও বেশি ছন্নছাড়া,বাঁধনহারা জীবনের বুড়ো আঙুল। কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের সামান্য চাকুরেজীবী ও জাত বামপন্থী কিন্তু মুক্ত মনের।না হলে সেই দুহাজার সালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই মিটিং করতেন সেখানেই ছুটে যেতেন না।ডায়লিসিস করেই ছুটেছেন একদিন জ্যোতি বোস আর একদিন মমতা ব্যানার্জির সভাস্থলে।বাংলায় এই প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে।এখন সবটাই সাদা-কালো।রবি বাবু আমার নাটকের খুব ভক্ত ছিলেন।আর অরূপের পালিকা আমাদের সবার মাসি (যদিও এরা সবাই আমাকে সলিলদা বলেই ডাকে।সুদীপ্তা-অরূপের বাবা মা থেকে ওরা ও ওদের ছেলে টুপাই আর পিংকির ছেলে পুপু আমাকে সলিলদাই বলে।ওরা কি তখনই জানত আমি একদিন শান্তিনিকেতনে পড়াতে যাব?)বরানগরের লাল বাড়ির মেয়ে।ওদের বরানগরের বাড়িতে বাংলার সব বাম নেতারাই যেতেন।মাসি কিন্তু কোন দিন রাজনীতি করেননি।এ,জি,বেংগলে চাকরি করতেন।পরের ছেলেকে মানুষ করতে হবে বলে সংসার পাতেননি।এখন অবসর জীবনে দিব্যি আছেন দাবাড়ু নাতিকে নিয়ে।
অরূপ আসামে যেমন গেল আবার ফিরেও এলো।আবার শুরু হোলো ব্যবসা।আর বারেবারেই ডাক পড়ে আমার।যেন আমি কতো চৌকস তুখোড় ব্যবসায়ী বানিয়া। আসলে ওরা আমাকে পরম আত্মীয় ভাবত।এখনও ভাবে।ওদের কেউ শাসন করার সাহস পায় না।আমি পারি।আর সেই পারার দায় ঘাড়ে নিয়ে আমি নয় ওরাই আমাকে ডেকে ডেকে শাসন চেয়েছে,প্রশ্রয় চেয়েছে।
বীরভূমের রূপপুরে ‘রক্তকরবী কারুগ্রাম’ হোলো।আমি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ছুটে গেলাম।নেচে গেয়ে খেয়ে এলাম।ট্রাভেল এজেন্সী খুলল।সবাই মিলে ছুটলাম সিকিমে।এই ২১ এ জুন ফোন করে জানাল ওরা কলাপাতায় কিছু খাওয়াবে।আমি বহুদিন কলাপাতায় গরম ভাত খাইনিতাই ৪৮ দমদম রোড এ গিয়ে দেখি “ক লা পা তা” একটি রেস্তোরার নাম।যার মালিক ওরা।
এটা ওদের ১৮ বিবাহ বার্ষিকী ছিল।আমার মেয়ে তিথি তারও তো আঠারো হোলো? তা হলে সুদীপ্তা অরূপ ওরাও এবার বুঝি ব্যবসায়ী বুদ্ধিতে এডাল্ট হোলো।রাত আটটা থেকে এগারোটা অব্দি নানান পদ চেখে দেখলাম।তার মধ্যে ‘কালি চিকেন’, ‘হলদি চিকেন’, ‘ড্রাগন বল’, ‘চিকেন মুমতাজ’,’কাশ্মীরি পোলাও’, ‘কোলকাতা বিরিয়ানী’, ‘বাটার নান’ চমৎকার।
চাইলে আপনার ইচ্ছেটাকে লাগাম না টেনে নাগের বাজার থেকে হনুমান মন্দির পেরিয়ে ঘুঘুডাঙা ফাঁড়িতে রাস্তার উপরেই রেস্তোরায় পৌঁছে যেতে পারেন।আর যদি চিড়িয়া মোড়ের দিক থেকে কি ট্রেনে বা মেট্রোয় আসেন তাহলে দমদম স্টেশন ছাড়িয়ে একটুখানি।ওদের ঠিকানা
সুদীপ্তা-অরূপ এ জীবনে বহু ঘুঘু দেখেছে।বহু ফাঁদেও পড়েছে কিন্তু ফান্দে পড়িয়া বগার মতো না কেঁদে জীবনের শক্ত ডাঙায় দাঁড়ানোর জন্যে হেসে খেলে লোককে খাইয়ে তৃপ্তি পেতে ও তৃপ্তি দিতে চায়। মন্দ কী?BUY ONE কলা,GET ONE FREE পাতা।


নিঃস্ব সুরের বিশ্ব দিবস......।
“কে জানে মন
গুরু আমার কয় জনা?
(আমার) অথিক গুরু,পথিক গুরু
(করি) শতেক গুরুর ভজনা।
কে না জানে গুরু আমার কয় জনা।
দূরের গুরু,সুরের গুরু
কাছের গুরু অজানা।
সেই জানে মন
সুজন গুরু নয় জনা”।
ভিকিরিপতি গ্রামে আমাদের বাড়িতে সুরের কোনও যন্ত্র ছিল বলে আমার মনে পড়ে না।না ছিল হারমোনিয়ম,না ছিল ঢোল-খোল,থাকার মধ্যে ছিল একটা ‘খত্তাল’নাকি ‘খঞ্জনি’?সেটা নিয়ে আমরা কীর্তণে তালে বেতালে নাচতাম।হারমোনিকা আর তবলা বাড়িতে এসেছিল অনেক পরে।আমার খুড়তুতো বোন সুজাতা যখন গান শেখা শুরু করল।আর তবলা এলো খুড়তুতো ভাই অতনুর জন্যে।সুজাতা ওই গ্রাম থেকে শিখেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে এম মিউজিক করে এখন সে বাণীপুর বেসিক ট্রেনিং কলেজের গানের দিদিমনি।
আমার শৈশবে ভিকিরিপতি গ্রামে সুর ছিল আকাশে বাতাসে।শ্বাসে-প্রশ্বাসে,বিভাবে বিভাসে।পাখির ডাক ছাড়াও সুর ছিল ছাতপেটাই গানে,নলকূপ তৈরির সুরে, ফেরিওয়ালার ডাকে,মঙ্গলচণ্ডীর ব্রতকথায়,পুন্যিপুকুরের সুরে,বিয়ের বাসরে এমনকি প্রয়াণের বিষাদেও।
আমার শৈশবে হেমন্তের ভোরের কুয়াশায় বিছানায় মায়ের শরীরের পাশে লেপ্টে বোষ্টমীর আগমনী গান শুনতাম।খর রৌদ্রে কাগমারাদের বিদ্ঘুটে ভাষার গানে ছিল অন্য মাদকতা।এই কাগমারাদের দেখলে আমরা ভয়ে কুঁকড়ে যেতাম।তাদের শরীরে থাকত বিদ্ঘুটে পোশাক।কপালে মস্ত লাল টিপ।কালো কুচকুচে চেহারায় লম্বা চুল তার উপরে লাল ফেট্টি।হাতে স্টীলের বালা আর ধারালো ছুরি।সেই ছুরি বালায় ঘা দিয়ে সুর তুলত।ওরা নাকি দিনের বেলা গান আর রাতেরবেলা ‘গান’ নিয়ে ডাকাতি করত।কিন্তু শীতের দুপুরে যখন পটুয়ারা পট নিয়ে আসত আমাদের মন ভরে যেত। কতো পট,কতো কথা,কথকতা আর পটচিত্র।মা ঠাকুমা থলি ভরে চাল চিড়ে আর পয়সা দিত তাদের।যে অন্ধ ভিখারি সপ্তাহে একদিন গান গেয়ে ভিক্ষা নিতে আসত তার গানের গলাও খুব খারাপ ছিল না।আর সাধনদা গাড়ি গ্যারাজ করে নেশায় চুর হয়ে মধ্যরাতে যখন পাড়ায় ফিরত তখন তার গানে সুরের থেকেও আবেগ থাকত বেশি।এরা সবাই আমার গানের গুরু।কিছু পরে ঘরে রেডিয়ো এলে আমার গুরু পালটে গেল।
আমার গানের গুরু তখন পঙ্কজ মল্লিক।প্রতি রোববার তিনি বে-তারে প্রতিটি পংক্তি ধরে শেখান।রাত গভীর হলে শিখি রাগ।সন্ধ্যায় শিখি পাশ্চাত্য সংগীত।শিখি মানে কি আর তানসেন হওয়া?পণ্ডিত রবিশঙ্কর এর ভাষায় ‘কানসেন’।শুনে শুনে শুন্যি।পরে সেই রবিশঙ্করজীর সেতার শুনলাম সামনে থেকে আর তার রাগালাপ শুনলাম সামনে বসে।উস্তাদ আলি আকবর খাঁ সাহেবের সরোদ শুনলাম আর তার সংগে আলাপচারিতার সুযোগ পেলাম আমার পরম সুহৃদ গৌতম ঘোষের কল্যাণে।শ্রদ্ধেয় সলিল চৌধুরির আকাশদীপ বাড়িতে বসে সারা দুপুর সুরের জাদুকরের সংগে সুর আর কথার আলাপ সেও গৌতমের কল্যাণেই।
মানিকতলায় রামমোহন লাইব্রেরি আর মঞ্চের পাশের ১০,রামমোহন রায় রোডে গৌতমদের পৈতৃক আবাস।রবীন্দ্রভারতীতে যখন ড্রামায় এম,এ তে ভর্তি হলাম গৌতম তখন মিউজিকে বি,এ পড়ছে।যদিও বয়সে সামান্য বড়ো।গৌতম যেমন লম্বা,তেমন রোগা,তেমনি ফর্সা,তেম্নি ঠোঁটকাটা।আবার সরোদে তার হাত ততোধিক সুরেলা।অসুর আমির সংগে সুরের গৌতমের কেমন করে সখ্য গড়ে উঠল আজ আর তা তেমন করে মনে করতে পারি না।
গৌতমদের চিলেকোঠার ছাদের ঘরটাই ছিল আমাদের স্বপ্ন আর সুরের কারখানা।কতো দুপুর,কতো রাত আমাদের ওখানে কেটেছে যেখানে আমি,গৌতম,সরোদ কি ম্যাণ্ডোলিন আর ঠিক সময়ে মাসিমার প্রবেশ চা নিয়ে কি খেতে ডাকার জন্যে।ভিকিরিপতিতে যে সব সুর শুনেছিলাম সেইসব সুরের ব্যাখ্যা শুনতাম নিবিষ্ট মনে বাধ্য ছাত্রের মতো গৌতমের কাছে।কী করে রাগ চিনতে হয়।কী করেই বা সিম্ফনির চরিত্র বুঝতে হয়।‘কর্ড’ কী?’স্কেল” কী?’সোপ্রানো’ কি,’স্ট্যাকাটো’ই বা কী?ধরে ধরে শেখাত।হঠাৎ হঠাৎ সরোদে স্ট্রোক দিত আর আমি পাশে পড়ে থাকা বইয়ে তাল ঠুকে ঠেকা দিতাম।আর স্বপ্ন দেখতাম একদিন এইসব সব আমাদের নাটকে কাজে লাগাব।
গৌতমকে নাটকের কাজে টেনে আনলাম আমি।তার আগের নাটকে শ্রীপতিদার স্টক মিউজিক দিয়েই কাজ চালানো হয়েছিল।তখন অধিকাংশ দলেই শ্রীপতিদাই ছিল সুরের কাণ্ডারী।সত্যজিৎ রায়ও শ্রীপতি দাসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন।উৎপল দত্তের সব নাটকে শ্রীপতিদাই টেপ চালাত নেপথ্যে।‘সমাবর্তন’ নাটকে গৌতমের প্রবেশ।তার পর বহু নাটকে গৌতম তার প্রতিভার ছাপ রেখেছে।আমার ‘আবরণ’, ‘প্রবহতি’ আর ‘বাস্তুভিটে’ নাটকের মিউজিক স্কোর গৌতমেরই।
একদিন গৌতম আর আমার সম্পর্কটা সরোদের তারের মতো ছিঁড়ে গেল।হাতের জবার মতো হারিয়ে গেল আচমকাই।সেটা একদিনে ঘটেনি।বহু মৈত্রী, বহু মনান্তরের, বহু মলিনতা,সাংসারিক জীর্ণ দৈন্যে ‘কোন হাহারবে তার ছিঁড়ে গিয়েছিল’।আবার দেখা হোলো শান্তিনিকেতনে সংগীত ভবনে।গৌতম পরীক্ষক আর আমি অতিথি অধ্যাপক। আবার তারটা জুড়লাম আমরা দুজনে মিলেই।কী আশ্চর্য!যে রাগটা আমাদের প্রিয় ছিল সেই ইমন রাগই বাজছে আমার অ্যাতোদিন ঠুকে যাওয়া তালেই।