শম্ভু উৎপল অজিতেশ এবং বাদল সরকার
সলিল সরকার
৪
শুরুর প্রথম তিনটি নাম বাংলা থিয়েটারে একসময় একসাথে উচ্চারিত হোত।ঠিক যেমন এর আগে গিরিশ, অর্দ্ধেন্দু, অমৃতলাল কিম্বা শিশির, অহীন্দ্র।শিশির অহীন্দ্র নিয়ে "নাচঘর" পত্রিকায় হেমেন্দ্র কুমার রায় নিয়মিত একটা লড়াই জারি রাখতেন।শিশির ভাদুড়ির দিকেই পাল্লাটা ভারি থাকত।কিন্তু ম্যাগসাইসাই পাওয়ার পরে পরে আমাদের চোখের সামনে যে পত্র পত্রিকা বাংলা থিয়েটারের নাম উচ্চারণ করতে নাক সিঁটকাতো তারাই জয়গানে মাতল আর উৎপল দত্ত মানেই কমিউনিস্ট হিন্দি সিনেমার ভিলেন।অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাই "হাটে বাজারে"র খলনায়ক।কজন বাংলা গ্রুপ থিয়েটার কে সমাদর করতেন কমিটেড মধ্যবিত্ত ছাড়া?আর সেখানে বাদল নামটির কোনও স্থান ছিল কী?শম্ভুদা তার যে নাটক করেছেন সেগুলি নিয়ে সেসময় তেমন আলোচনা বা মাতামাতি হয়েছে বলে জানা নেই বরং থার্ড থিয়েটার নিয়ে একটা তাচ্ছিল্য ছিল বাংলা প্রসেনিয়ম থিয়েটারের আটের দশকের নাট্যকার পরিচালক দের মধ্যে।আজকের প্রজন্ম ভাবতেই পারবে না "থিয়েটার বুলেটিন" পত্রিকায় বাদল সরকার ও তার থিয়েটার নিয়ে ঠিক কতটা শিথিল সরসতা ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছিল।এই তারা এই পত্রিকায় অজিতেশ কে নিয়েও পড়েছিলেন।অজিতেশ নীলকণ্ঠ হয়ে তা পান করে এক নবীন নাটককার কে বলেছিলেন বাংলায় ভালো নাটকের খুব অভাব।ওটাই করো।ওটাই থাকবে।কেচ্ছা নয়।
বাদল সরকার অবশ্য নির্বিকার থেকে নিজের কাজ করে যেতেন।অবশ্য কিছু ছেলেমানুষীও নিজের চোখে দেখেছি।একবার এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে তাকে তার থিয়েটার নিয়ে বলতে আমন্ত্রণ জানান হোল।তিনি শুরু করলেন ডায়াসে মাইক হাতে।হঠাৎ বলে উঠলেন আমি তো এই মঞ্চ বিরোধী।বলেই মাইক রেখে ডায়াস থেকে নেমে এসে আমাদের সামনে খালি গলায় তরতরিয়ে বলতে থাকলেন তার নাট্যভাষা ও ভাবনার কথা।তিনি মিডিয়া কে সযত্নে এড়িয়ে যেতেন।একসাথে আড্ডা দিয়েছি, তর্ক করেছি সেই আমি নাট্য আকাদেমির উৎসবে তার ছবি তুলতে গেলে আপত্তি জানিয়েছেন।আবার "দেশ" পত্রিকার জন্য বিভাস চক্রবর্তী এক লম্বা সাক্ষাৎকার ক্যাসেটবন্দী করে আমার হাতে দিয়েছিলেন অনুলিখন করতে।এতো ছাপোষা ভঙ্গিতে নিজের কথা কাউকে বলতে শুনিনি।রাগ পুষে রাখতেও দেখিনি।নিজের প্রতি আস্থাই কি তাকে এমন করে তুলেছিল?
শম্ভুদার স্বাভিমান দেখেছি, উৎপল দত্তের ক্রোধ,অজিতেশদার অভিমান আর বাদলদার জেদ।অনেকের হেঁসেলি চাল ও চলন তাও দেখেছি কিন্তু আজ ১৫ জুলাই জন্ম নেওয়া মানুষটির কথাই বলা হোক।
সলিল সরকার
৪
শুরুর প্রথম তিনটি নাম বাংলা থিয়েটারে একসময় একসাথে উচ্চারিত হোত।ঠিক যেমন এর আগে গিরিশ, অর্দ্ধেন্দু, অমৃতলাল কিম্বা শিশির, অহীন্দ্র।শিশির অহীন্দ্র নিয়ে "নাচঘর" পত্রিকায় হেমেন্দ্র কুমার রায় নিয়মিত একটা লড়াই জারি রাখতেন।শিশির ভাদুড়ির দিকেই পাল্লাটা ভারি থাকত।কিন্তু ম্যাগসাইসাই পাওয়ার পরে পরে আমাদের চোখের সামনে যে পত্র পত্রিকা বাংলা থিয়েটারের নাম উচ্চারণ করতে নাক সিঁটকাতো তারাই জয়গানে মাতল আর উৎপল দত্ত মানেই কমিউনিস্ট হিন্দি সিনেমার ভিলেন।অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাই "হাটে বাজারে"র খলনায়ক।কজন বাংলা গ্রুপ থিয়েটার কে সমাদর করতেন কমিটেড মধ্যবিত্ত ছাড়া?আর সেখানে বাদল নামটির কোনও স্থান ছিল কী?শম্ভুদা তার যে নাটক করেছেন সেগুলি নিয়ে সেসময় তেমন আলোচনা বা মাতামাতি হয়েছে বলে জানা নেই বরং থার্ড থিয়েটার নিয়ে একটা তাচ্ছিল্য ছিল বাংলা প্রসেনিয়ম থিয়েটারের আটের দশকের নাট্যকার পরিচালক দের মধ্যে।আজকের প্রজন্ম ভাবতেই পারবে না "থিয়েটার বুলেটিন" পত্রিকায় বাদল সরকার ও তার থিয়েটার নিয়ে ঠিক কতটা শিথিল সরসতা ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছিল।এই তারা এই পত্রিকায় অজিতেশ কে নিয়েও পড়েছিলেন।অজিতেশ নীলকণ্ঠ হয়ে তা পান করে এক নবীন নাটককার কে বলেছিলেন বাংলায় ভালো নাটকের খুব অভাব।ওটাই করো।ওটাই থাকবে।কেচ্ছা নয়।
বাদল সরকার অবশ্য নির্বিকার থেকে নিজের কাজ করে যেতেন।অবশ্য কিছু ছেলেমানুষীও নিজের চোখে দেখেছি।একবার এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে তাকে তার থিয়েটার নিয়ে বলতে আমন্ত্রণ জানান হোল।তিনি শুরু করলেন ডায়াসে মাইক হাতে।হঠাৎ বলে উঠলেন আমি তো এই মঞ্চ বিরোধী।বলেই মাইক রেখে ডায়াস থেকে নেমে এসে আমাদের সামনে খালি গলায় তরতরিয়ে বলতে থাকলেন তার নাট্যভাষা ও ভাবনার কথা।তিনি মিডিয়া কে সযত্নে এড়িয়ে যেতেন।একসাথে আড্ডা দিয়েছি, তর্ক করেছি সেই আমি নাট্য আকাদেমির উৎসবে তার ছবি তুলতে গেলে আপত্তি জানিয়েছেন।আবার "দেশ" পত্রিকার জন্য বিভাস চক্রবর্তী এক লম্বা সাক্ষাৎকার ক্যাসেটবন্দী করে আমার হাতে দিয়েছিলেন অনুলিখন করতে।এতো ছাপোষা ভঙ্গিতে নিজের কথা কাউকে বলতে শুনিনি।রাগ পুষে রাখতেও দেখিনি।নিজের প্রতি আস্থাই কি তাকে এমন করে তুলেছিল?
শম্ভুদার স্বাভিমান দেখেছি, উৎপল দত্তের ক্রোধ,অজিতেশদার অভিমান আর বাদলদার জেদ।অনেকের হেঁসেলি চাল ও চলন তাও দেখেছি কিন্তু আজ ১৫ জুলাই জন্ম নেওয়া মানুষটির কথাই বলা হোক।