ান্ত ঠিক কী ভুল ছিল সে কথায় পরে আসব।ছুতোরের ছেড়ে আসাটা সময়োচিত ছিল কি না সে কথায় এখন নাই বা গেলাম।চন্দন কোন্ অপরাধে দণ্ডিত।থাকল কারা, কেন আজ সেসব কথা নয়।এখন সেট রেডি হয়ে গেছে।বীরপাড়ার দশ বাই বিশ ফুটের মেঝেতে কাঠের কাঠামো দাঁড় করানো হোলো।আ্যক্টরস্ লেফ্ট এ নীহারবালার রান্নাঘর।রাইটে জানালা মাত্র একবার শুরুতে ব্যবহার হয়।ডানদিকের দেওয়াল ঘেঁষে রিঙ্কু, বাসুর পড়ার টেবিল-চেয়ার।আপস্টেজ রাইটে বাইর থেকে ভেতরে আসার বেরুনোর দরজা।ওই দেওয়ালের বামদিকে একটা ঘুপচি অথচ অমোঘ জানালা যা দিয়ে আলো নয় আসে বস্তির কলহ।বঙ্কু পাগলের মুখ ও মুখোস।ডানদিকের দেওয়ালের কুলুঙ্গীটাও খুব কাজের।ঠাকুরের নিত্য সেবার গুজিয়া প্রদীপ থেকে সম্বর্ধনা থেকে পাওয়া অমৃতি,সন্দেশ তাও থাকে।থাকে দেশলাই যার দু-একটা কাঠি প্রায়ই ধার করে চন্দ্রকান্ত।তা নিয়ে কিছু বললেই নীহারবালাকে শুনতে হয়-তোমার দিদির যা মুখ ও দেশলাই লাগে না।বিড়ি আপনিই পুড়ে যায়।
বাঁদিকের দেওয়াল ঘেঁষে থাকা চৌকি ভীরু মধ্যবিত্ত ত্বিষাম্পতির লেটে যাওয়া নয় লুকানোর জায়গা।আর মাঝখানের চেয়ার নীহারবালা কি চন্দ্রকান্ত এর বসার জায়গা।ত্বিষাম্পতি ওই আরামকেদারার পাশে মাথা উঁচু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনি বলার সময়।লোড ও আপোস ত্যাগ করার সময়।চাঁদা চাইতে এসে পাড়ার লুম্পেনরা ছোট মেয়ে রিঙ্কুকে টাচ্ করার সময়-এ তো কুসুমকুঁড়ি!এর গায়ে হাত দিতে আপনার লাগছে?
গা ঘিনঘিন্ করে উঠত দর্শকের।সদ্য ফেলে আসা সময়টার দগদগে স্মৃতি। প্রবুদ্ধ আর স্বপন স্বাভাবিক অভিনয় দিয়েই সেটা ফুটিয়ে তুলত।তার মধ্যে প্রবুদ্ধ ছিল শ্যামবাজারের ছেলে।একটু শ তো ছিলই।গৌরী ওই অল্প বয়সেই করত ঘোষঠাকুমা।শক্তি দার মেক আপ দেখে সত্যজিৎ রায় ও নাটক দেখতে এসে চমকে উঠেছিলেন।রিঙ্কু শুরুতে করত টুপুর পরে করত অপর্ণা। মৃণালদা(সেন) এ নাটক দেখে "একদিন প্রতিদিন" এ টুপুরকে নিলেন।উৎপলেন্দু চক্রবর্তী "ময়নাতদন্ত"এ নিয়েছিল অনেককেই।বিশেষ করে চন্দ্রকান্ত চরিত্রের চন্দনকে।অমিতাক্ষর নাটকের চন্দ্রকান্ত এক অদ্ভুত মধ্যবিত্ত অপরচুনিস্ট।যে দেশলাই কাঠি নেয় আর অন্যের জীবনে কাঠি করে।"সাপের ল্যাজে পা দিলে ভায়া!"
যদিও চন্দ্রকান্ত সামান্য ছাপোষা মধ্যবিত্ত।সে জানত এ সমাজে অর্থই আসল।কিম্ আশ্চর্যম্! বাস্তবে সে নিজেই পা ফসকে পড়ল পাদপীঠের থেকে পাকে বিপাকে!চোপ্ এসব কথা বলার এখনও সময় আসেনি।এখন মহলা চলছে।
(চলবে)
MON KHEROR KHATA(LIFE n ART)
sarkarsalil.blogspot.com
বাঁদিকের দেওয়াল ঘেঁষে থাকা চৌকি ভীরু মধ্যবিত্ত ত্বিষাম্পতির লেটে যাওয়া নয় লুকানোর জায়গা।আর মাঝখানের চেয়ার নীহারবালা কি চন্দ্রকান্ত এর বসার জায়গা।ত্বিষাম্পতি ওই আরামকেদারার পাশে মাথা উঁচু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনি বলার সময়।লোড ও আপোস ত্যাগ করার সময়।চাঁদা চাইতে এসে পাড়ার লুম্পেনরা ছোট মেয়ে রিঙ্কুকে টাচ্ করার সময়-এ তো কুসুমকুঁড়ি!এর গায়ে হাত দিতে আপনার লাগছে?
গা ঘিনঘিন্ করে উঠত দর্শকের।সদ্য ফেলে আসা সময়টার দগদগে স্মৃতি। প্রবুদ্ধ আর স্বপন স্বাভাবিক অভিনয় দিয়েই সেটা ফুটিয়ে তুলত।তার মধ্যে প্রবুদ্ধ ছিল শ্যামবাজারের ছেলে।একটু শ তো ছিলই।গৌরী ওই অল্প বয়সেই করত ঘোষঠাকুমা।শক্তি দার মেক আপ দেখে সত্যজিৎ রায় ও নাটক দেখতে এসে চমকে উঠেছিলেন।রিঙ্কু শুরুতে করত টুপুর পরে করত অপর্ণা। মৃণালদা(সেন) এ নাটক দেখে "একদিন প্রতিদিন" এ টুপুরকে নিলেন।উৎপলেন্দু চক্রবর্তী "ময়নাতদন্ত"এ নিয়েছিল অনেককেই।বিশেষ করে চন্দ্রকান্ত চরিত্রের চন্দনকে।অমিতাক্ষর নাটকের চন্দ্রকান্ত এক অদ্ভুত মধ্যবিত্ত অপরচুনিস্ট।যে দেশলাই কাঠি নেয় আর অন্যের জীবনে কাঠি করে।"সাপের ল্যাজে পা দিলে ভায়া!"
যদিও চন্দ্রকান্ত সামান্য ছাপোষা মধ্যবিত্ত।সে জানত এ সমাজে অর্থই আসল।কিম্ আশ্চর্যম্! বাস্তবে সে নিজেই পা ফসকে পড়ল পাদপীঠের থেকে পাকে বিপাকে!চোপ্ এসব কথা বলার এখনও সময় আসেনি।এখন মহলা চলছে।
(চলবে)
MON KHEROR KHATA(LIFE n ART)
sarkarsalil.blogspot.com