MON KHEROR KHATA

MON KHEROR KHATA
Memories

রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭

ান, পাঁচালি, কীর্তন, বাউল,ফকিরী,ভাটিয়ালি, পদাবলী।এই ভাটিয়ালি ভাটের হোলো ব্রিটিশ আমলে মুৎসুদ্দী আর মুর্শিদাবাদ থেকে বেইমানির ধন রাতারাতি নৌকায় করে কোলকেতায় এসে সাহেবি খেতাব পাওয়া বাবুদের অকল‍্যাণে।খেউড়,ঢপ,তরজা,কবির লড়াই তখনই তো জমে উঠল বাগান বাড়ির ফুর্তিতে।হারিয়ে গেল বাংলার নাটপালা।জাত খোয়াল যাত্রা।এ আমার কথা নয়।হুতোমের বর্ণনামালা। জমিদার, জোৎদার,মফঃস্বল,মুৎসুদ্দী, মধ‍্যস্বত্বভোগী,চাপলুসি(স্তাবকতা), রিস ওয়াৎ(ঘুষ),বে ইমানি,বে শরমি,বে হায়া, বে আদবি এমনকি পরশ্রী ও পরস্ত্রীকাতরতা সবই এলো সাহেবদের হাত ধরে।আজকের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, পরের বউ ফুসলানো,কথায় কথায় ডুয়েল লড়াই, জানালা গলে ঘরে ঢুকে পরকীয়া তাও এলো ওদের থেকেই। মনে হবে ধান ভানতে শিবের গাজন গাইছি।একটুও না।গাজন আমাদের ছিল কিন্তু ছুঁচোরকেত্তন ওদের দেওয়া।
এইভাবে থ‍্যাটারটাও যদি ওদের থেকে না নিতাম "রক্তকরবী","শর্মিষ্ঠা","চাঁদ বণিকের পালা","কীত্তনখোলা","যৈবতী কইন‍্যার মন","প্রাচ‍্য" আমরা পেতাম না?
ময়মনসিংহ গীতিকা ছিল।গীতগোবিন্দ ছিল।রবীন্দ্রনাথ গান লিখতেন বিদেশি সুর ছাড়াই।আর লালন,হাসান রোজা, পটের গান হোতো আমাদের চলচ্চিত্র।
শুধু নিন্দে করি কেন ওরা আমাদের সনেট দিয়েছে, সেক্সপিয়র দিয়েছে।প্রসেনিয়ম দিয়েছে বলেই না করে কম্মে খাচ্ছি।রোবিন থিয়েটার করে খেতে পেত কি না জানি না,তবে থিয়েটারেই বাঁচত।বিশেষ করে মফস্বলের প্রতিযোগিতা মঞ্চে আর নাট‍্য সভায়।এই সেদিনও মফস্বল ছিল একাংক নাটকের উদ্গাতা।সুস্থ বিনোদনের মিলন ক্ষেত্র।শহরের থিয়েটার কল শো করতে যেত নিজের তাগিদে, রসদ জোগাড়ের প্রয়োজনে। আজ আর্থ সামাজিক কারণে বাম আমলেই চিত্র পাল্টেছিল।আবার পাল্টাল।আগে ছিল শহরের নাট‍্যদাদা মফস্বলের ভাই।এখন সবাই।খড়দহর কনক রায় ওখানেই "চাঁদ বণিকের পালা" করেছিলেন।তার ছেলে দেবাশিস এই শহর দাপিয়ে থিয়েটার করে। গোবরডাঙার আশিস রবীন্দ্রভারতীর শিক্ষা কাজে লাগিয়েছে বাংলার মঞ্চে।তার মেয়ে ভূমিসুতা বাংলার গৌরব।এমন কতো নাম আছে।উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ।রবীন্দ্রনাথ দাস কিন্তু একটাই ছিল।আর কেউ যদি থাকেন যা আমার অজানা আমাকে জানাবেন।
অকাল প্রয়াণের আগে তার কথা যেন লিখে যেতে পারি।
রবি বাউল নাট‍্য দাস
সলিল সরকার
ভেবেছিলাম কিছুই লিখব না।কী হবে লিখে?কী হয় লিখে!বরং না লিখতে পারলে অনেক কিছু প্রাপ্তি হয়।আর লিখতেই যদি চাও তাদের নিয়ে লেখো যারা তোমাকে দিলেও দিতে পারে কিছু টুকরো সম্মান, খুচরো অনুপান।তবু
"হাওয়া বয় সনসন্ তারারা কাঁপে
হৃদয়ে কি জং ধরে পুরনো খাপে!"
মানুষটিকে দেখেছিলাম ছেষট্টি আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোডের গ্রুপ থিয়েটার, গণনাট‍্য দপ্তরে।ফেলোশিপ পেয়ে বাংলা নাটক নিয়ে গবেষণা শেষে ঠাঁই হোলো সাড়ে সাতশো টাকার দপ্তর সম্পাদক।এক চিলতে ঘুপচি ঘরে গ্রাহক চাঁদা,বিজ্ঞাপন সংগ্রহ থেকে পত্রিকা বিক্রি সব করতে হোতো।দূর দূরান্ত থেকে যারা আসতেন তারা স্বাভাবিক চোখেই দপ্তরের কেরানি ভাবতেন আর কলকাতার থিয়েটারের লোকেরা করুণার চোখে তাকাতেন।
এর মধ‍্যেই একমুখ সাদাদাড়ি,সাদা কেশ,সাদা পাজামা পাঞ্জাবি আর রঙিন ঝোলা যাতে সারা রাজ‍্যের নাটকের তত্ত্ব তালাশ নিয়ে যে মানুষ আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলেছেন- আমি রোবিন দাস নাটকের কাজ করি।আপনার লেখা আমার ভালো লাগে।আপনাকে আমি আলোচনা সভায় নিয়ে যেতে এসেছি।
তার বাড়ি কোথায় জানতাম না।কখনও মনে হয়েছে কসবা,কখনও বা কাঁকিনাড়া।কখনো আমোদপুর কখনো আসানসোল।কখনো কল‍্যাণীতে, কখনও বা কাটোয়ায়।
মফস্বল থিয়েটারের তত্ত্ব তালাশ শুধু নয়, শহরের থিয়েটারের নাড়ী নক্ষত্র তার নখদর্পণে।বস্তুত বাংলা নাট‍্য তার আনখশিরে।
একবার আমাকে নিয়ে পৌঁছে গেলেন খিদিরপুর ডক পেরিয়ে কোন প্রত‍্যন্ত গঙ্গার ধারে যেখানে যখন তখন নদীর পাড় ভেঙে মানুষ বসতি হারায়।আমি স্তম্ভিত হয়ে দেখছি আর ভাবছি এখানেও নাটকের কাজ হয়?মানুষ নাটক করে, আলোচনা শোনে?আর রবীন্দ্রনাথ দাস একসঙ্গে উদ‍্যোক্তা, বক্তা এমনকি স্পনসর তার জোগাড় করে দেওয়া।শিল্পী ও শিল্পকে সম্মান জানানো তার মজ্জায়, শিরায় শিরায়। তখন সারা বাংলায় অনুদান, অনুকম্পা,অনুগ্রহ,অনুশাসন ছাড়াই থিয়েটার হোতো।যার যা সামর্থ‍্য,যার যা দক্ষতা তার সংগে আন্তরিকতা মিশিয়ে ঘরের খেয়ে নাট‍্যবনের মোষ তাড়ানোয় গর্ববোধ করত।নিজের চোখে দেখেছি বাড়ির মানুষ জন কী আন্তরিকতায় আমাদের আপন করে নিতেন।ওরা কাউকে সেলিব্রেটি ভাবতেন না।কোনো বাজারেই নাটকের কোনও প্রচার স্টল ছিল না।কাঁচরাপাড়ার নাটকের দল কুলটিতে ভালো নাটক করে পুরস্কৃত হলে,রিষড়ার গ্রুপ রূপনারায়নপুরে নাটক করে মন জয় করলে মানুষ সারা বছর আলোচনা করত।নাটকের কাজে সারা বাংলা ঘুরতেন রবীন্দ্রনাথ।নাটকের জন‍্যেই চাকরি ছাড়া রবীন্দ্রনাথ নেই তাও কি হয়?
ছিন্নমূল শোভা সেন
সলিল সরকার
-তুইই সলিল
-হ্যা।কেন?
-উৎপল তোর কথা বলত।তোর লেখা পড়ত।আমাদের বাড়িতে আসিস
এই কথোপকথন উৎপল দত্তের মৃত্যুর কয়েকমাস পরের অবশ্যই শোভাদির সংগে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরে এক বিকেলে।উপলক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয়োজনে কলকাতা শহরের তিনশ বছর পূর্তিতে এই শহরের অবলুপ্ত নাটমঞ্চগুলি যা চিহ্নিত করেছিলাম সেগুলিতে ফলক বসানো।এই কমিটিতে ছিলেন অধ্যাপক পবিত্র সরকার, অধ্যাপক বিষ্ণু বসু, নাট্যব্যক্তি ও অধ্যাপক কুমার রায়, শোভা সেন ও সলিল সরকার।
এই শহরে ব্রিটিশ আমলে ১৭৯৫ তে রাশা দেশের এক ভয়লাবাদক পরিব্রাজক গেরাসিম স্তেপানোভিচ লিয়েবেদেফ ডোমটোলা স্ট্রিটে ব্রিটিশদের সঙ্গে টক্কর দিয়ে প্রসেনিয়ম মঞ্চেই বাংলার লোকাচারে বাঙালি নট-নটী নিয়ে নিজের প্রযোজনা “কাল্পনিক সংবদল” বেশ কয়েকবার মঞ্চস্থ করে ব্রিটিশদের কাঠিবাজিতে ফতুর হয়ে আগুনে পোড়া মঞ্চের মায়া ত্যাগ করে জাহাজে উঠেছিলেন সেই পোড়া মঞ্চের নির্দিষ্ট স্থানটি ছিল সবার অজানা।ডোমটোলা কেও সবাই বলত ডোমতলা কি ডুমতলা.১৯৯০ এ নানা কাণ্ড করে জায়গাটির হদিশ করি।সরকারের কাছে অনুরোধ করি কিছু না হোক একটা ফলক যদি বসানো যায়।সেই সময় উৎপল দত্ত লিয়েবেদেফ নিয়ে কিছু কাজ করছিলেন সেই সূত্রেই হয়ত নাট্য আকাদেমিতে প্রকাশিত আমার লেখা পড়ে থাকবেন।কথাটার উল্লেখ এই জন্যেই উৎপল দত্তের নাড়ি নক্ষত্রের হিসেব ছিল শোভাদির কাছেই।সংসার নয় নাটকের যাবতীয়ও শোভাদিই জানতেন।
শোভাদির জন্ম ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ফরিদপুরে ১৯২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর।কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে বি এ পাশ করেন।বিয়েও হয় খুব অল্প বয়সে কলেজে পড়াকালীন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য দেবপ্রসাদ সেনের সংগে।সামাজিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত হন।নবান্ন নাটকে তার অভিনয় আজ সবার জানা।যে নাটক বাংলার বানভাসি দুর্গত গ্রামের মানুষের দুর্দশা নিয়ে সেখানে দামি শাড়ি গয়না পরে তো অভিনয় করা যাবে না জেনেও তৃপ্তি ভাদুড়ি পরে মিত্র আর শোভা সেন শতচ্ছিন্ন,মলিন শাড়ি পরেই অভিনয় করেছিলেন।সমাজ চেতনা, সামাজিক দায়বোধ না থাকলে তখনকার দিনে এ প্রায় অসম্ভব।সুধীদার(প্রধান)মুখে শুনেছি ওই নাটকেই অনেক মহিলা দুর্গত পীড়িতের চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে দামি শাড়ি গয়না পরেই মঞ্চে নেমেছিলেন।সংঘে শুধু অভিনয় করতেন না।সাংগঠনিক কাজও করতেন।আর সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগিয়েছিলেন সংঘ থেকে বেরিয়ে এসে উৎপল দত্তের সংগে হাত মিলিয়ে নতুন নাটকের দল “লিটল থিয়েটার গ্রুপ” গড়ার সময়।একে একে “অংগার”, “কল্লোল”,”তিতাস একটি নদির নাম”,”তীর” সব নাটকে অভিনয় করছেন আবার সংগঠন সামলাচ্ছেন।এর পর যখন “পিপলস লিটল থিয়েটার” হোলো সেখানেও একই ভূমিকায়।“টিনের তলোয়ার” এ শোভা সেনের অভিনয়ের কথা সবাই জানেন।খুব কম মানুষই জানেন তার নেপথ্যের দায় দায়িত্বের কথা।“এপিক থিয়েটার” পত্রিকার পাই পয়সার হিসেব শোভা সেনকেই রাখতে হোতো।
১৯৫৪ সালে লিটল থিয়েটার গ্রুপ(এল.টি.জি)যখন নিয়মিত অভিনয়ের জন্য মিনার্ভা লিজ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তখন তাঁর দাম্পত্য জীবনের চরম অশান্তির সময়।সেই সময়েও স্বামীকে লুকিয়ে বাড়ির দলিল বন্ধক রেখে দলের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেনতিনি বিবাহ বিচ্ছেদ করতে বাধ্য হন ১৯৬০ সালের ১০ মার্চ আর নাট্যসহকর্মী ও সহযোদ্ধা উৎপল দত্তকে রেজিস্ট্রি করে বিবাহ করেন ১৯৬১ সালের ২৯ মার্চ।
উৎপল দত্ত খন সাউথ পয়েন্টের শিক্ষকতা ছেড়ে পুরোপুরি নাটকের কাজে নিজেকে যুক্ত করে ফেলছেন সংসার চালানোর জন্য শোভা সেনকে তখন নির্বিচারে প্রচুর ছায়াছবিতে অভিনয় করতে হচ্ছে।সংসার ও নাটকের ঘর গেরস্থালি সামলাতে অনেকের কাছেই তাকে অপ্রিয় হতে হয়েছে।অপ্রিয় কাজও করতে হয়েছে।
জরুরি অবস্থার সময় কলকাতার রাজভবনে ইন্দিরা গান্ধী যখন শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের সংগে বসে ছিলেন সেখানে শোভা সেনকেই যেতে হয়েছিল।কংগ্রেস আমলে রাইটার্স বিল্ডিংয়ে অনুদান আর হলের বন্দোবস্ত করতে শোভা সেনকেই ছুটতে হোতো।
এসব করেও তিনি থিয়েটারটাই করতেন।"নবান্ন","বাস্তুভিটা","বিসর্জন","দলিল","তরঙ্গ","নীলদর্পণ","ইন্সপেক্টর জেনারেল","কলঙ্ক"এবং পরে এল.টি.জি এবং পি.এল.টির প্রায় সব নাটকেই তিনি অভিনয় করেছেন।    
প্রচুর বিদেশ ভ্রমণ এবং বিদেশী থিয়েটার আত্মস্থ করার পর সবচেয়ে বেশী প্রভাবিত হয়েছিলেন বার্লিনের আন্সম্বল-এর হেলেন ভাইগেলের অভিনয়ে।অভিনয় জীবনে নির্দেশক রূপে পেয়েছেন উৎপল দত্ত ছাড়া বিজন ভট্টাচার্য,শম্ভু মিত্র,ঋত্বিক ঘটক,দিগিন্দ্রচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়,তুলসি লাহিড়ি প্রমুখকে।জার্মান নাট্যপরিচালক ফ্রিৎস বেনেভিৎস এর তত্বাবধানে কাজ করেছেন বারটোল্ট ব্রেখটের “মাদার কারেজ” এর বাংলা অনুবাদ "হিম্মৎবাঈ" নাটকে ১৯৮৭ তে।ওই বছরই তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের সদস্য নির্বাচিত হলেন।
১৯৭৪ সালে শোভাদি পেয়েছিলেন সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার।পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি তাঁর এক ভিডিও সাক্ষাৎকার সংরক্ষণ করেছেন ১৯৯০ সালেতিনি দীনবন্ধু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন ১৯৯৫ সালে এবং প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব হিসেবে সংবর্ধনা পেয়েছিলেন ১৯৯৭ সালেশোভা সেনের অভিনয় জীবনের ৫০ বছর সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়েছিল ১৯৯৩ সালে য়ার ২০০০ সালে অন্য থিয়েটার আয়োজিত নাট্যস্বপ্নকল্প অনুষ্ঠানে তিনি সংবর্ধিত হন।
চলচ্চিত্রেও তার অবদান নেহাত কম নয়।১৯৫৫ তে প্রফুল্ল চক্রবর্তীর “ভগবান শ্রী রামকৃষ্ণ” তে অভিনয় করলেও ওই বছর নিমাই ঘোষের “ছিন্নমূল”এ অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন শোভাদি।ঋত্বিক ঘটকের “বেদেনী” ছবি যা সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি সেই ছবিতেও শোভা সেন অভিনয় ক্রেছিলেন.১৯৭২ এ করেছিলেন “এক অধুরি কাহানি”,উৎপল দত্তের পরিচালনায় ১৯৭৯ তে “ঝড়”।ওই বছরেই মৃণাল সেন এর “একদিন প্রতিদিন”.১৯৮১ তে আবার উৎপল দত্তের “বৈশাখী মেঘ” এ অভিনয়.১৯৮৩ তে বসু চ্যাটারজির হিন্দি ছবি “পসন্দ আপনি আপ্নি”.২০০১ এ এসে গৌতম ঘোষের “দেখা”।আর ২০০৪ এ জার্মান চলচ্চিত্র “শ্যাডোজ অব টাইম” এ অভিনয় যার পরিচালক ছিলেন ফ্লোরিয়ান গ্যালেনবারগার।এবাদেও তিনি বহু বাণিজ্যিক ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করেছেন।
থিয়েটারের মানুষজন শোভাদি বলেই ডাকতেন তাকে আর আড়ালে কেউ কেউ বলতেন “শোভাদা” তা তিনি নিজেও জানতেন।
২০১৭ র ১৩ আগস্ট শোভা সেন বাংলা নাট্যচর্চা ও এদেশকে এক গভীর সংকটের ইতিহাসে রেখে গেলেন।আমাদের অনেককেই আর “তুই” বলে ডাকার নাট্যজন রইল না।