স্বপ্ন ফেরির ফেরিঘাট
সলিল সরকার
আজ প্রথম শীতের পূর্ণ চাঁদের সন্ধ্যায় বনেরডাঙাপুকুরের কাছে নিভৃতপূর্ণিমা নাট্যগ্রামে যখন সোনাঝুরির ডালপালা ছাড়িয়ে মস্ত মাটির থালা চাঁদ উঠছিল শহুরে বাবুদের শনিবারের হাটের কোলাহল ঠিক যেখানে এসে মিলিয়ে যাচ্ছে তথাগতের অবয়বে সেখানে শোভেন কলকাতা থেকে এসে সমাগত কচিকাঁচার মধ্যে কিছু অতিথি অভ্যাগত সমভিব্যহারে শুরু করল স্বপ্নফেরি।শহুরে নাট্যকর্মী ফি শনিবার মোকমে না ফিরে এই যে সাইকেল চালিয়ে আশ্রম থেকে আর এক আলয়ে আশ্রমে এলাম সে কি শহুরে শোভেনের স্বপ্ন ফেরির কেরামতি কসরৎ দেখতে?ফলত নাটুকে সমালোচকের ভণিতায় বসে থাকতে থাকতে কখন যে থালা চাঁদ জ্যোৎস্নায় ভাসিয়ে দিচ্ছে শালবন আর নট শোভেন কথকতার ঢঙে গেয়ে যাচ্ছে জীবনের গান বুঝতে পারিনি ঝাপসা চোখে।এমন কিছু বলছিল কী যা নতুন,যা আগে শুনিনি?এমন কিছু করছিল যা আগে দেখিনি?না।এসব আমার বহুবার বহু তরিকায় দেখা তবু আজ শোভেন মধ্যমগ্রাম থেকে এই নাট্যগ্রামে, শহর কলকাতায় কিভাবে এসেছিল,হেঁটেছিল বহু পথ,দেখেছে কতো স্বপ্ন কতো আগে ডোম,বাগে ডোম,ঘোড়া ডোম সাজে তার সাতকাহন।
শোভেন নাচ জানে,গান গাইতে পারে,কণ্ঠের ওঠানামায় ছুটে যায় প্রতিটি একার নিভৃত ব্যর্থতা ও না পাওয়ায় সেটাই পারফরমেন্স হয়ে উঠল জ্যোৎস্নায় মোমবাতির শিখাতেও।
শোভেনকে আমি জানি বহুবছর।শোভেনকে আমি আজ চিনলাম নতুন করে।
বাংলা থিয়েটার তার রূপ পাল্টাচ্ছে।লাম্পট্যের চর্চা থেকে ল্যাম্পের আলো সবকিছু ম্লান হয় তার আড়াই চালে।
আহা আমার স্বপ্নের থিয়েটারের শতরঞ্চে ঘোড়াগুলো বাঘের মতো খেলছে যেখানে প্রাণ বিনা কোনও বাজি নেই অথচ আমরা মাৎ হব প্রতি উপস্থাপনায়।
সলিল সরকার
আজ প্রথম শীতের পূর্ণ চাঁদের সন্ধ্যায় বনেরডাঙাপুকুরের কাছে নিভৃতপূর্ণিমা নাট্যগ্রামে যখন সোনাঝুরির ডালপালা ছাড়িয়ে মস্ত মাটির থালা চাঁদ উঠছিল শহুরে বাবুদের শনিবারের হাটের কোলাহল ঠিক যেখানে এসে মিলিয়ে যাচ্ছে তথাগতের অবয়বে সেখানে শোভেন কলকাতা থেকে এসে সমাগত কচিকাঁচার মধ্যে কিছু অতিথি অভ্যাগত সমভিব্যহারে শুরু করল স্বপ্নফেরি।শহুরে নাট্যকর্মী ফি শনিবার মোকমে না ফিরে এই যে সাইকেল চালিয়ে আশ্রম থেকে আর এক আলয়ে আশ্রমে এলাম সে কি শহুরে শোভেনের স্বপ্ন ফেরির কেরামতি কসরৎ দেখতে?ফলত নাটুকে সমালোচকের ভণিতায় বসে থাকতে থাকতে কখন যে থালা চাঁদ জ্যোৎস্নায় ভাসিয়ে দিচ্ছে শালবন আর নট শোভেন কথকতার ঢঙে গেয়ে যাচ্ছে জীবনের গান বুঝতে পারিনি ঝাপসা চোখে।এমন কিছু বলছিল কী যা নতুন,যা আগে শুনিনি?এমন কিছু করছিল যা আগে দেখিনি?না।এসব আমার বহুবার বহু তরিকায় দেখা তবু আজ শোভেন মধ্যমগ্রাম থেকে এই নাট্যগ্রামে, শহর কলকাতায় কিভাবে এসেছিল,হেঁটেছিল বহু পথ,দেখেছে কতো স্বপ্ন কতো আগে ডোম,বাগে ডোম,ঘোড়া ডোম সাজে তার সাতকাহন।
শোভেন নাচ জানে,গান গাইতে পারে,কণ্ঠের ওঠানামায় ছুটে যায় প্রতিটি একার নিভৃত ব্যর্থতা ও না পাওয়ায় সেটাই পারফরমেন্স হয়ে উঠল জ্যোৎস্নায় মোমবাতির শিখাতেও।
শোভেনকে আমি জানি বহুবছর।শোভেনকে আমি আজ চিনলাম নতুন করে।
বাংলা থিয়েটার তার রূপ পাল্টাচ্ছে।লাম্পট্যের চর্চা থেকে ল্যাম্পের আলো সবকিছু ম্লান হয় তার আড়াই চালে।
আহা আমার স্বপ্নের থিয়েটারের শতরঞ্চে ঘোড়াগুলো বাঘের মতো খেলছে যেখানে প্রাণ বিনা কোনও বাজি নেই অথচ আমরা মাৎ হব প্রতি উপস্থাপনায়।