আমার ভিকিরিপতি গ্রাম থেকে সাগর উপ সাগর কিছু মাইল দূরে।লক্ষ যোজন দূরে নয়।রূপনারায়ণ আর ইতিহাসের তাম্রলিপ্ত বন্দর চার মাইলের মধ্যে।হলদি নদি, কংসাবতী,কেলেঘাই,দামোদর এরা এদিকে ওদিকে গা এলিয়ে রয়েছে।আর বাংলা উপ-সাগর আরও কিছু মাইল দূরে।
কিশোরবেলায় আমরা যখন সমুদ্র দেখতে দীঘায় যেতাম তখন দু-দুটো নদি কিছুটা নৌকায় আর কিছুটা পায়ে হেঁটে পেরোতে হোত।নরঘাটের ব্রীজ তখন তৈরির কাজ চলছে।যতবার পিলার তোলা হয় ততবারই সেগুলো হয় হেলে যায়,নয় ভেঙে যায় জলের তোড়ে।আর আমরাও কাদা ছপ ছপিয়ে যেতে যেতে ওই হেলে পড়া থাম দেখি।তখন কলকাতা বা অন্যান্য অঞ্চল থেকে যারা দীঘায় যেতেন তাদের খড়্গপুর হয়ে যেতে হোত।ওটা অনেক ঘুর পথ ছিল।তখন কেউ তাজপুর,মন্দারমনি,জুনপুট,তালসানি এসব জায়গায় ভ্রমণে যেত না।এদিকে বকখালি,ফ্রেজারগঞ্জ এসব জায়গায় মাছের কারবার চলত।হেনরি আইল্যান্ড,মৌসুমী দ্বীপ এসব জায়গাতেও।কালে কালে সব ভ্রমণ ক্ষেত্র হয়ে গেল।এটা বেশ ভালো।এক জায়গায় ঠাসাঠাসি আর গুঁতোগুঁতি করার চেয়ে নানা জায়গায় ইচ্ছে মতন ঘোরো।যদিও ঘোরার নামে ঠেসে কারণবারি পান করে সমুদ্রে স্নানে নামা আর তার পরিণতিতে সাগরে তলিয়ে যাওয়া এটা এখন বেশ রেওয়াজ হয়েছে।
ঘুরতে ঘুরতেই আমার সিনেমার কাজেও সাগর খুব টানে।যখন মাধবী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে "ঝরা পাতার বেলা" করেছি তখন দক্ষিণেশ্বর-এর গঙ্গা থেকে চলে গেছি দীঘা-নিউদিঘা ছাড়িয়ে উড়িষ্যার জলেশ্বরে।আবার "লিটল মারমেড" করার সময় বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরি আইল্যান্ড ছুটে বেড়িয়েছি।বিজ্ঞাপনের কাজে মন্দারমনিকে
আমার জুতসই মনে হয়েছিল।তথ্যচিত্রের কাজ করতে শংকরপুরের সমুদ্রতটকেই উপযুক্ত লেগেছিল।ওই লাল কাঁকড়ায় ভরে থাকা তট।"লিটল মারমেড" করার সময় বকখালিতেও অনেক লাল কাঁকড়া পেয়েছিলাম।ওখানকার স্থানীয় ছেলেরা বোতলে জল নিয়ে কী দ্রুত কাঁকড়াগুলোকে তুলে আনে ওপরে।
কাজের সময় কাজ ছাড়া আলাদা করে সমুদ্রকে দেখার অবকাশ থাকে না।তাই যেবার কক্সবাজারে গিয়েছিলাম সেবার সমুদ্রকে দেখেছিলাম প্রাণভরে।যদিও চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম নাটকের কাজেই।অভিজিৎ সেনগুপ্ত নিয়ে গিয়েছিল এবাংলা থেকে আমাকে আর নাট্যকার চন্দন সেন কে আর ঢাকা থেকে রামেন্দু মজুমদার কে।যেদিন শুনেছিলাম চট্টগ্রামের লোকেরা জাহাজ কেনা বেচার কারবার করে বেশ মজা পেয়েছিলাম।আমি নাটকের ব্যপারী হোলেও এই জাহাজের কারবারটায় বেশ মজা পেয়েছিলাম।
বাংলাদেশের কথা উঠলেই আমার কলমকে লাগাম দেওয়া শক্ত কাজ হয়ে ওঠে।একবার চলচ্চিত্রের কাজে ঢাকা থেকে বিক্রমপুরে গিয়ে কয়েক রাত কাটিয়েছিলাম।সেবার হাবিবভাইয়ের জেদ চাপল আমাকে বিক্রমপুরের বাড়ির থেকেই (আক্ষরিক ভাবেই) নৌকায় চাপিয়ে পদ্মার মাঝ দরিয়ায় নিয়ে যাওয়ার।তখন বরষা কাল।পদ্মা পানিতে ভরপুর।আকাশ ছিল জ্যোৎস্নায় ভরা।মাঝিরা ডাকাতির ভয়ে ওই রাতে যেতে রাজি হোলো না।অগত্যা বেরুলাম ভোরে।বাড়ির উঠোন থেকে নৌকায় চেপে এর বাড়ি ওর বাড়ির উঠোন পেরিয়ে এর ক্ষেত ওর আম বাগানের ভেতর দিয়ে,আখের ক্ষেতের ঝোপ পেরিয়ে পড়েছিলাম মাঝ পদ্মায়।সে এক পরম বিস্ময়!
সমুদ্র ফিরিয়ে দেয়।পদ্মা কিন্তু কিছূই ফেরায় না।শুধু গ্রাস করে।গংগায় জোয়ার ভাটা আছে।পদ্মায় শুধুই যাওয়া।তবু ফিরে আসতে হয় উজান বেয়ে।
এটা বকখালির ছবি।শুটিং য়ের সময় তুলেছিল সৌমালি চৌধুরি।কী আশ্চর্য সৌমালি এখন বাংলাদেশে।
কিশোরবেলায় আমরা যখন সমুদ্র দেখতে দীঘায় যেতাম তখন দু-দুটো নদি কিছুটা নৌকায় আর কিছুটা পায়ে হেঁটে পেরোতে হোত।নরঘাটের ব্রীজ তখন তৈরির কাজ চলছে।যতবার পিলার তোলা হয় ততবারই সেগুলো হয় হেলে যায়,নয় ভেঙে যায় জলের তোড়ে।আর আমরাও কাদা ছপ ছপিয়ে যেতে যেতে ওই হেলে পড়া থাম দেখি।তখন কলকাতা বা অন্যান্য অঞ্চল থেকে যারা দীঘায় যেতেন তাদের খড়্গপুর হয়ে যেতে হোত।ওটা অনেক ঘুর পথ ছিল।তখন কেউ তাজপুর,মন্দারমনি,জুনপুট,তালসানি এসব জায়গায় ভ্রমণে যেত না।এদিকে বকখালি,ফ্রেজারগঞ্জ এসব জায়গায় মাছের কারবার চলত।হেনরি আইল্যান্ড,মৌসুমী দ্বীপ এসব জায়গাতেও।কালে কালে সব ভ্রমণ ক্ষেত্র হয়ে গেল।এটা বেশ ভালো।এক জায়গায় ঠাসাঠাসি আর গুঁতোগুঁতি করার চেয়ে নানা জায়গায় ইচ্ছে মতন ঘোরো।যদিও ঘোরার নামে ঠেসে কারণবারি পান করে সমুদ্রে স্নানে নামা আর তার পরিণতিতে সাগরে তলিয়ে যাওয়া এটা এখন বেশ রেওয়াজ হয়েছে।
ঘুরতে ঘুরতেই আমার সিনেমার কাজেও সাগর খুব টানে।যখন মাধবী মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে "ঝরা পাতার বেলা" করেছি তখন দক্ষিণেশ্বর-এর গঙ্গা থেকে চলে গেছি দীঘা-নিউদিঘা ছাড়িয়ে উড়িষ্যার জলেশ্বরে।আবার "লিটল মারমেড" করার সময় বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরি আইল্যান্ড ছুটে বেড়িয়েছি।বিজ্ঞাপনের কাজে মন্দারমনিকে
আমার জুতসই মনে হয়েছিল।তথ্যচিত্রের কাজ করতে শংকরপুরের সমুদ্রতটকেই উপযুক্ত লেগেছিল।ওই লাল কাঁকড়ায় ভরে থাকা তট।"লিটল মারমেড" করার সময় বকখালিতেও অনেক লাল কাঁকড়া পেয়েছিলাম।ওখানকার স্থানীয় ছেলেরা বোতলে জল নিয়ে কী দ্রুত কাঁকড়াগুলোকে তুলে আনে ওপরে।
কাজের সময় কাজ ছাড়া আলাদা করে সমুদ্রকে দেখার অবকাশ থাকে না।তাই যেবার কক্সবাজারে গিয়েছিলাম সেবার সমুদ্রকে দেখেছিলাম প্রাণভরে।যদিও চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম নাটকের কাজেই।অভিজিৎ সেনগুপ্ত নিয়ে গিয়েছিল এবাংলা থেকে আমাকে আর নাট্যকার চন্দন সেন কে আর ঢাকা থেকে রামেন্দু মজুমদার কে।যেদিন শুনেছিলাম চট্টগ্রামের লোকেরা জাহাজ কেনা বেচার কারবার করে বেশ মজা পেয়েছিলাম।আমি নাটকের ব্যপারী হোলেও এই জাহাজের কারবারটায় বেশ মজা পেয়েছিলাম।
বাংলাদেশের কথা উঠলেই আমার কলমকে লাগাম দেওয়া শক্ত কাজ হয়ে ওঠে।একবার চলচ্চিত্রের কাজে ঢাকা থেকে বিক্রমপুরে গিয়ে কয়েক রাত কাটিয়েছিলাম।সেবার হাবিবভাইয়ের জেদ চাপল আমাকে বিক্রমপুরের বাড়ির থেকেই (আক্ষরিক ভাবেই) নৌকায় চাপিয়ে পদ্মার মাঝ দরিয়ায় নিয়ে যাওয়ার।তখন বরষা কাল।পদ্মা পানিতে ভরপুর।আকাশ ছিল জ্যোৎস্নায় ভরা।মাঝিরা ডাকাতির ভয়ে ওই রাতে যেতে রাজি হোলো না।অগত্যা বেরুলাম ভোরে।বাড়ির উঠোন থেকে নৌকায় চেপে এর বাড়ি ওর বাড়ির উঠোন পেরিয়ে এর ক্ষেত ওর আম বাগানের ভেতর দিয়ে,আখের ক্ষেতের ঝোপ পেরিয়ে পড়েছিলাম মাঝ পদ্মায়।সে এক পরম বিস্ময়!
সমুদ্র ফিরিয়ে দেয়।পদ্মা কিন্তু কিছূই ফেরায় না।শুধু গ্রাস করে।গংগায় জোয়ার ভাটা আছে।পদ্মায় শুধুই যাওয়া।তবু ফিরে আসতে হয় উজান বেয়ে।
এটা বকখালির ছবি।শুটিং য়ের সময় তুলেছিল সৌমালি চৌধুরি।কী আশ্চর্য সৌমালি এখন বাংলাদেশে।
Samir Mitra Excellent
উত্তরমুছুনLike · Reply · Yesterday at 17:03
Akshoy Mondal
Akshoy Mondal Apurbo
Like · Reply · Yesterday at 19:24
Amin Ali Mufti
Amin Ali Mufti Oh such a nice photography......................
Like · Reply · 8 hrs