MON KHEROR KHATA

MON KHEROR KHATA
Memories

শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭

স্বপ্ন ফেরির ফেরিঘাট
সলিল সরকার
আজ প্রথম শীতের পূর্ণ চাঁদের সন্ধ‍্যায় বনেরডাঙাপুকুরের কাছে নিভৃতপূর্ণিমা নাট‍্যগ্রামে যখন সোনাঝুরির ডালপালা ছাড়িয়ে মস্ত মাটির থালা চাঁদ উঠছিল শহুরে বাবুদের শনিবারের হাটের কোলাহল ঠিক যেখানে এসে মিলিয়ে যাচ্ছে তথাগতের অবয়বে সেখানে শোভেন কলকাতা থেকে এসে সমাগত কচিকাঁচার মধ‍্যে কিছু অতিথি অভ‍্যাগত সমভিব‍্যহারে শুরু করল স্বপ্নফেরি।শহুরে নাট‍্যকর্মী ফি শনিবার মোকমে না ফিরে এই যে সাইকেল চালিয়ে আশ্রম থেকে আর এক আলয়ে আশ্রমে এলাম সে কি শহুরে শোভেনের স্বপ্ন ফেরির কেরামতি কসরৎ দেখতে?ফলত নাটুকে সমালোচকের ভণিতায় বসে থাকতে থাকতে কখন যে থালা চাঁদ জ‍্যোৎস্নায় ভাসিয়ে দিচ্ছে শালবন আর নট শোভেন কথকতার ঢঙে গেয়ে যাচ্ছে জীবনের গান বুঝতে পারিনি ঝাপসা চোখে।এমন কিছু বলছিল কী যা নতুন,যা আগে শুনিনি?এমন কিছু করছিল যা আগে দেখিনি?না।এসব আমার বহুবার বহু তরিকায় দেখা তবু আজ শোভেন মধ‍্যমগ্রাম থেকে এই নাট‍্যগ্রামে, শহর কলকাতায় কিভাবে এসেছিল,হেঁটেছিল বহু পথ,দেখেছে কতো স্বপ্ন কতো আগে ডোম,বাগে ডোম,ঘোড়া ডোম সাজে তার সাতকাহন।
শোভেন নাচ জানে,গান গাইতে পারে,কণ্ঠের ওঠানামায় ছুটে যায় প্রতিটি একার নিভৃত ব‍্যর্থতা ও না পাওয়ায় সেটাই পারফরমেন্স হয়ে উঠল জ‍্যোৎস্নায় মোমবাতির শিখাতেও।
শোভেনকে আমি জানি বহুবছর।শোভেনকে আমি আজ চিনলাম নতুন করে।
বাংলা থিয়েটার তার রূপ পাল্টাচ্ছে।লাম্পট‍্যের চর্চা থেকে ল‍্যাম্পের আলো সবকিছু ম্লান হয় তার আড়াই চালে।
আহা আমার স্বপ্নের থিয়েটারের শতরঞ্চে ঘোড়াগুলো বাঘের মতো খেলছে যেখানে প্রাণ বিনা কোনও বাজি নেই অথচ আমরা মাৎ হব প্রতি উপস্থাপনায়।

সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭

ত্বিষাম্পতির জীবন যাপন
সলিল সরকার
.
সকাল সাতটায় ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে হরিদাস মোদকের দোকানের সামনে থেকে বাস ছাড়বেসবাই ওখানেই উঠবে শুধু আমরা কজন ভবানীপুর খালসা স্কুলের সামনে থেকে সেটের জিনিস নেবতার জন্যে চন্দনদা (সেনগুপ্ত)মল রোড থেকে, দেবুদা(দেবাশিস মজুমদার)বাঙুর থেকে, প্রবুদ্ধ(মিত্র)বাগবাজার থেকে আর আমি পাইকপাড়া থেকে ছুটলাম ভবানীপুরগাঁজাপার্ক থেকে তিনচাকার টেম্পো ভাড়া করে জগুবাবুর বাজার থেকে ফুলের মালা আর অমৃতি কিনে ভবানীপুর থেকে সেটের মাল তুলে ছুটলাম ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়বাসের মাথায় মাল তুলে ফুটপাতের কর্পোরেশনের জলে হাত মুখ ধুয়ে যখন একটু জিরোচ্ছি শিবপুর থেকে এসে পড়ল গৌতম, গৌরী(চৌধুরী), টুপুর(ঘোষ)মাধব দাস লেন থেকে অপর্ণা(ভড়),বিবেকানন্দ রোড থেকে বাসুদাআকাদেমি থেকে আলোর মাল তুলে চলে এসেছে ঘোষদাশক্তি(সেন)দা এসেছেন গড়িয়া থেকে বাকিরাও চলে এসেছে ঠিক ঠিক সময়ে শুধু অমিত(মিত্র)দা শ্রীপতিদা (দাস) আর তার এসিস্ট্যান্ট ভাই ফেলুকে নিয়ে হাপাতে হাঁফাতে পৌঁছেই ঘাড়ের থেকে রুমালটা টেনে একবার ঝেড়ে আবার পাট পাট করে ভাঁজ করে ঘাড়ে চালান করে দিলবাসে উঠেই সবাইয়ের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হোলো একটা করে কলা,পাঁউরুটি, সেদ্ধ ডিম আর হরিদাস মোদকের সন্দেশমেয়েদের মধ্যে কারো খেতে খেতে কুসুমের এক টুকরো পড়ে গেল বাসের মেঝেতেআমাদের মধ্যে একজন খুব ধীর পায়ে গিয়ে সেটা কুড়িয়ে মুখে চালান করে দিলসে আর কেউ নয় দ্বিজেনদা, দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায় "অমিতাক্ষর" নাটকের ত্বিষাম্পতিসবাই হাঁ হাঁ করে উঠলবাস ছুটল দুর্গাপুর