স-বিনয়ে অপ্রিয় কথন
সেদিনও এমন বৃষ্টিস্নাত শহর।নিম্নচাপের জোরে যত না ভাসছে নগরী তার চেয়ে অনেক বেশি অশ্রু আকুল এই বাংলার নারীকুল।কারণ উত্তমকুমার নেই।সবাইকে ভাসিয়ে তিনি কেমন করে অকালে চলে গিয়েছিলেন সে কথা তার প্রয়াণের ৩৭এ এসেও সবাই মনে রেখেছেন।হাহাকার আজো থামেনি।কারণ তার স্থান কেউই পূরণ করতে পারলেন না এই সাইত্রিশ বছরেও।উত্তম-সুচিত্রা,উত্তম-সাবিত্রী,উত্তম-মাধবী, উত্তম-সুপ্রিয়া একের পর এক হিট বাণিজ্যিক বাংলা চলচ্চিত্র।তাদের অভিনয়,অনবদ্য পরিচালনা,সম্পাদনা,চিত্রনাট্য আর সংগীত হেমন্ত,শ্যামল,মান্না,লতা,সন্ধ্যা,আরতি।শুধু তাই নয় সত্যজিত রায়ের “নায়ক” এ তিনি তার জাত চেনালেন।কবি সাহিত্যিকদের কাছে পাত পেলেন।যারা এতোদিন কফি হাউসে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পাশে তার অভিনয় তুচ্ছ জ্ঞান করতেন তারাও নড়েচড়ে বসেছিলেন।এমন এক ম্যাটিনি আইডল এর অকাল প্রয়াণ সবাইকে শোকাহত করবে এটাই তো প্রত্যাশা।বিশেষ করে বাংগালি যারা সারা ভারতের চোখে তখনও কালচারাল আইকন।
পরের দিন পচিশে জুলাই খোলা গাড়িতে ফুলের পাহাড়ে আড়াল হয়ে সারা নগরী ঘুরে তিনি শায়িত হলেন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।তার শেষযাত্রা কেউ কেউ বাইশে শ্রাবণের সংগে মেলালেন।মাদার টেরিজা তার বহু পরে এমন ক্রাউড টেনেছিলেন।ফিরে আসি আশির কলকাতায়।ফিরে আসি পচিশে জুলাই।এই পচিশে জুলাই মহানায়কের মহাশোকের মধ্যেই সবিনয়ে কখন যে চলে গেলেন বিনয় ঘোষ কেউ জানতে পারলেন না।জানতে চাইলেনও না।
কে এই বিনয় ঘোষ?তার মৃত্যুর সাইত্রিশ বছরে এসে কেন এই উচ্চারণ,কেন এই হাহাকার?যাকে কেউ মনে রাখেনি তখনই তাকে মনে রাখবে কাল?কেন?কীসের দায়ে?দাদাগিরিতে এর কথা আসবে না।দিদি নং ওয়ানেও নয়।চ্যানেলে চ্যানেলে ছুঁড়ে দেওয়া প্রশ্নমালায় তিনি নেই।তিনি নাট্যকার-প্রাবন্ধিক-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবি বিনয় ঘোষ।
পৈতৃক নিবাস ছিল যশোরে।১৯১৭ সালের ১৪ জুন কলকাতায় তাঁর জন্ম।আশুতোষ কলেজ থেকে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও নৃতত্ত্বে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।সাংবাদিকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুর।নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সাপ্তাহিক ফরোয়ার্ড(১৯৩৯-১৯৪১),যুগান্তর(১৯৪৩-১৯৪৫),দৈনিক বসুমতী (১৯৪৬-১৯৪৭)ও সাপ্তাহিক অরণি পত্রিকায় সাংবাদিকতার বিভিন্ন পদে তিনি বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেন।
সাংবাদিক, সমাজতাত্ত্বিক, লেখক, সাহিত্যসমালোচক, বাংলা ভাষা ও লোকসংস্কৃতির গবেষক বিনয় ঘোষ ‘কালপেঁচা’ ছদ্মনামেও লিখতেন।ইতিহাস ও রাজনীতিবিষয়ক পর্যালোচনায় ও মার্কসবাদী বিশ্বাসে ছিলেন প্রত্যয়ী।আন্তর্জাতিক রাজনীতি, সোভিয়েত সভ্যতা (২ খন্ড), ফ্যাসিজম ও জনযুদ্ধ, সোভিয়েত সমাজ ও সংস্কৃতি ইত্যাদি ছিল তাঁর রাজনীতিবিষয়ক গ্রন্থ।
ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের (IPTA)সঙ্গে বিনয় ঘোষের ছিল নিবিড় সখ্য।সঙ্ঘের জন্মলগ্নেই তাঁর লেখা “ল্যাবরেটরী” নাটকটি অভিনীত হয়।গবেষণাগ্রন্থ হিসেবে শিল্প সংস্কৃতি ও সমাজ (১৯৪০), মেট্রোপলিটন মন, বাংলার নবজাগৃতি (১৯৪৮), পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন অঞ্চল পরিভ্রমণ ও ক্ষেত্রসমীক্ষা-ভিত্তিক আলোচনাগ্রন্থ পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি (১৯৫৭) তাঁর বিশিষ্ট রচনা। বিদ্যাসাগর ও বাঙালীসমাজ (১৯৫৭), বিদ্রোহী ডিরোজিও (১৯৬১), সুতানুটি সমাচার (১৯৬২), বাংলার সামাজিক ইতিহাসের ধারা (১৯৬৮), মধ্যবিত্ত বিদ্রোহ (১৯৭৩), বাংলার বিদ্বৎ সমাজ (১৯৭৩), কলকাতা শহরের ইতিবৃত্ত (১৯৭৫), বাংলার লোকসংস্কৃতি ও সমাজতত্ত্ব (১৯৭৯) প্রভৃতি তাঁর অন্যান্য প্রধান রচনা। মার্কসবাদের আলোকে সমাজতাত্ত্বিক আলোচনা ও বিশ্লেষণ এসব গ্রন্থের প্রধান আকর্ষণ। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থ টাউন কলিকাতার কড়চা (১৯৬১), সাময়িকপত্রে বাংলার সমাজচিত্র (৪ খন্ড, ১৯৬২-৬৬), জনসভার সাহিত্য, কালপেঁচার নকসা, নববাবুচরিত, ডাস্টবিন (গল্প-সংকলন) ইত্যাদি। “৩০৪” নামে একটি উপন্যাসও তিনি রচনা করেছিলেন।
বিনয় ঘোষ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিদ্যাসাগর বক্তৃতা’র প্রথম বক্তা (১৯৫৭) ছিলেন। ১৯৫৮-৬০ সাল পর্যন্ত তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রকফেলার রিসার্চ স্কলার হিসেবে গবেষণারত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি গ্রন্থের জন্য তাঁকে রবীন্দ্র-পুরস্কারে (১৯৫৯)ভূষিত করা হয়।
কলকাতা নিয়ে গবেষণা করেছেন অথচ তার কিছুই পড়েননি এমন গবেষক নেই বললেই চলে।যদিও বিনয় ঘোষের লেখার মূল সূত্র ছিল আগের বেংগল গেজেট, গেজেটিয়ার,স্মৃতিকথা ও হিকির ডায়েরি এবং অন্যান্য ব্রিটিশ লেখকদের লেখা তবুও বাংলায় সেগুলি এক মূল্যবান প্রাপ্তি।
১৯৮০ সালের ২৫ জুলাই তাঁর প্রয়াণ হয়।বিস্মৃত বাঙালি নাই বা তাকে মনে রাখল। গবেষকদের কাছে তার কদর ফুরিয়ে যাবার নয়।লেখকের মৃত্যু হয় না।
সেদিনও এমন বৃষ্টিস্নাত শহর।নিম্নচাপের জোরে যত না ভাসছে নগরী তার চেয়ে অনেক বেশি অশ্রু আকুল এই বাংলার নারীকুল।কারণ উত্তমকুমার নেই।সবাইকে ভাসিয়ে তিনি কেমন করে অকালে চলে গিয়েছিলেন সে কথা তার প্রয়াণের ৩৭এ এসেও সবাই মনে রেখেছেন।হাহাকার আজো থামেনি।কারণ তার স্থান কেউই পূরণ করতে পারলেন না এই সাইত্রিশ বছরেও।উত্তম-সুচিত্রা,উত্তম-সাবিত্রী,উত্তম-মাধবী, উত্তম-সুপ্রিয়া একের পর এক হিট বাণিজ্যিক বাংলা চলচ্চিত্র।তাদের অভিনয়,অনবদ্য পরিচালনা,সম্পাদনা,চিত্রনাট্য আর সংগীত হেমন্ত,শ্যামল,মান্না,লতা,সন্ধ্যা,আরতি।শুধু তাই নয় সত্যজিত রায়ের “নায়ক” এ তিনি তার জাত চেনালেন।কবি সাহিত্যিকদের কাছে পাত পেলেন।যারা এতোদিন কফি হাউসে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পাশে তার অভিনয় তুচ্ছ জ্ঞান করতেন তারাও নড়েচড়ে বসেছিলেন।এমন এক ম্যাটিনি আইডল এর অকাল প্রয়াণ সবাইকে শোকাহত করবে এটাই তো প্রত্যাশা।বিশেষ করে বাংগালি যারা সারা ভারতের চোখে তখনও কালচারাল আইকন।
পরের দিন পচিশে জুলাই খোলা গাড়িতে ফুলের পাহাড়ে আড়াল হয়ে সারা নগরী ঘুরে তিনি শায়িত হলেন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।তার শেষযাত্রা কেউ কেউ বাইশে শ্রাবণের সংগে মেলালেন।মাদার টেরিজা তার বহু পরে এমন ক্রাউড টেনেছিলেন।ফিরে আসি আশির কলকাতায়।ফিরে আসি পচিশে জুলাই।এই পচিশে জুলাই মহানায়কের মহাশোকের মধ্যেই সবিনয়ে কখন যে চলে গেলেন বিনয় ঘোষ কেউ জানতে পারলেন না।জানতে চাইলেনও না।
কে এই বিনয় ঘোষ?তার মৃত্যুর সাইত্রিশ বছরে এসে কেন এই উচ্চারণ,কেন এই হাহাকার?যাকে কেউ মনে রাখেনি তখনই তাকে মনে রাখবে কাল?কেন?কীসের দায়ে?দাদাগিরিতে এর কথা আসবে না।দিদি নং ওয়ানেও নয়।চ্যানেলে চ্যানেলে ছুঁড়ে দেওয়া প্রশ্নমালায় তিনি নেই।তিনি নাট্যকার-প্রাবন্ধিক-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবি বিনয় ঘোষ।
পৈতৃক নিবাস ছিল যশোরে।১৯১৭ সালের ১৪ জুন কলকাতায় তাঁর জন্ম।আশুতোষ কলেজ থেকে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও নৃতত্ত্বে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।সাংবাদিকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুর।নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সাপ্তাহিক ফরোয়ার্ড(১৯৩৯-১৯৪১),যুগান্তর(১৯৪৩-১৯৪৫),দৈনিক বসুমতী (১৯৪৬-১৯৪৭)ও সাপ্তাহিক অরণি পত্রিকায় সাংবাদিকতার বিভিন্ন পদে তিনি বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেন।
সাংবাদিক, সমাজতাত্ত্বিক, লেখক, সাহিত্যসমালোচক, বাংলা ভাষা ও লোকসংস্কৃতির গবেষক বিনয় ঘোষ ‘কালপেঁচা’ ছদ্মনামেও লিখতেন।ইতিহাস ও রাজনীতিবিষয়ক পর্যালোচনায় ও মার্কসবাদী বিশ্বাসে ছিলেন প্রত্যয়ী।আন্তর্জাতিক রাজনীতি, সোভিয়েত সভ্যতা (২ খন্ড), ফ্যাসিজম ও জনযুদ্ধ, সোভিয়েত সমাজ ও সংস্কৃতি ইত্যাদি ছিল তাঁর রাজনীতিবিষয়ক গ্রন্থ।
ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের (IPTA)সঙ্গে বিনয় ঘোষের ছিল নিবিড় সখ্য।সঙ্ঘের জন্মলগ্নেই তাঁর লেখা “ল্যাবরেটরী” নাটকটি অভিনীত হয়।গবেষণাগ্রন্থ হিসেবে শিল্প সংস্কৃতি ও সমাজ (১৯৪০), মেট্রোপলিটন মন, বাংলার নবজাগৃতি (১৯৪৮), পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন অঞ্চল পরিভ্রমণ ও ক্ষেত্রসমীক্ষা-ভিত্তিক আলোচনাগ্রন্থ পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি (১৯৫৭) তাঁর বিশিষ্ট রচনা। বিদ্যাসাগর ও বাঙালীসমাজ (১৯৫৭), বিদ্রোহী ডিরোজিও (১৯৬১), সুতানুটি সমাচার (১৯৬২), বাংলার সামাজিক ইতিহাসের ধারা (১৯৬৮), মধ্যবিত্ত বিদ্রোহ (১৯৭৩), বাংলার বিদ্বৎ সমাজ (১৯৭৩), কলকাতা শহরের ইতিবৃত্ত (১৯৭৫), বাংলার লোকসংস্কৃতি ও সমাজতত্ত্ব (১৯৭৯) প্রভৃতি তাঁর অন্যান্য প্রধান রচনা। মার্কসবাদের আলোকে সমাজতাত্ত্বিক আলোচনা ও বিশ্লেষণ এসব গ্রন্থের প্রধান আকর্ষণ। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থ টাউন কলিকাতার কড়চা (১৯৬১), সাময়িকপত্রে বাংলার সমাজচিত্র (৪ খন্ড, ১৯৬২-৬৬), জনসভার সাহিত্য, কালপেঁচার নকসা, নববাবুচরিত, ডাস্টবিন (গল্প-সংকলন) ইত্যাদি। “৩০৪” নামে একটি উপন্যাসও তিনি রচনা করেছিলেন।
বিনয় ঘোষ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিদ্যাসাগর বক্তৃতা’র প্রথম বক্তা (১৯৫৭) ছিলেন। ১৯৫৮-৬০ সাল পর্যন্ত তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রকফেলার রিসার্চ স্কলার হিসেবে গবেষণারত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি গ্রন্থের জন্য তাঁকে রবীন্দ্র-পুরস্কারে (১৯৫৯)ভূষিত করা হয়।
কলকাতা নিয়ে গবেষণা করেছেন অথচ তার কিছুই পড়েননি এমন গবেষক নেই বললেই চলে।যদিও বিনয় ঘোষের লেখার মূল সূত্র ছিল আগের বেংগল গেজেট, গেজেটিয়ার,স্মৃতিকথা ও হিকির ডায়েরি এবং অন্যান্য ব্রিটিশ লেখকদের লেখা তবুও বাংলায় সেগুলি এক মূল্যবান প্রাপ্তি।
১৯৮০ সালের ২৫ জুলাই তাঁর প্রয়াণ হয়।বিস্মৃত বাঙালি নাই বা তাকে মনে রাখল। গবেষকদের কাছে তার কদর ফুরিয়ে যাবার নয়।লেখকের মৃত্যু হয় না।
পুনশ্চঃ আজ
সকালে এই লেখাটি পোস্ট করার পর দিল্লী প্রবাসী আমার বন্ধু শ্রীময়ী সুতপা চক্রবর্তী
লেখাটি পড়ে আমাকে১৯৮০ র ২৫জুলাই দিনটির কথা মনে করিয়ে দিল অন্যভাবে।আমরা তখন
রবীন্দ্রভারতীতে নাটক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী।ঠাকুরদার ক্যান্টিনে চা আর চিড়ের পোলাও-ঘুগনি
খেতে খেতে উত্তমকুমারের মূল্যায়ন চলছিল।তার মধ্যে আমার বিষন্ন মুখ দেখে ওরা
ভেবেছিল আমি উত্তমকুমারের প্রয়াণ শোকে মুহ্যমান।ওরা যখন শুনল উত্তমকুমার নয় আমি
শোক করছি বিনয় ঘোষের জন্যে আর বিনয় ঘোষের প্রয়াণ সংবাদ সেই গুরুত্ব পেল না দেখে
কিছুটা ক্ষুব্ধ ওরা আমার এই শোককে লেপ-তোষকের তুলো যেভাবে ধুনুরি হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়
সেইভাবে বলেছিল –ওরে তোর বিনয়কে কেউ মনে রাখবে না রে,মনে রাখবে ম্যাটিনি আইডল
উত্তমকুমারকে।
ওরা কতটা
সত্যদ্রষ্টা ছিল তখন বুঝতে চাইনি।এখনও কী বুঝেছি?কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণ সংবাদ
দৈনিক সংবাদপত্রের ভিতরের পাতায় মুখ লুকিয়েছিল ঋত্বিক রোশনের কলকাতা আগমনের
উল্লাসে।কতো শিল্পী-বুদ্ধিজীবি-সাহিত্যিক-কবি চলে গেলেন চুপি চুপি,একা একা।সেও কী
আমাদের জন্যে?
Sutapa Chakraborty Emon sundar tathher jonne anek dhannobad
উত্তরমুছুনLikeShow More Reactions · Reply · 4 hrs
Manage
Kristi Shree
Kristi Shree jananor jannya kitaggota
LikeShow More Reactions · Reply · 4 hrs
Manage
Supriya Gangopadhyay
Supriya Gangopadhyay তবুও কেউ কেউ মনে করেন, মনে করান।
কৃতজ্ঞতা।