ান, পাঁচালি, কীর্তন, বাউল,ফকিরী,ভাটিয়ালি, পদাবলী।এই ভাটিয়ালি ভাটের হোলো ব্রিটিশ আমলে মুৎসুদ্দী আর মুর্শিদাবাদ থেকে বেইমানির ধন রাতারাতি নৌকায় করে কোলকেতায় এসে সাহেবি খেতাব পাওয়া বাবুদের অকল্যাণে।খেউড়,ঢপ,তরজা,কবির লড়াই তখনই তো জমে উঠল বাগান বাড়ির ফুর্তিতে।হারিয়ে গেল বাংলার নাটপালা।জাত খোয়াল যাত্রা।এ আমার কথা নয়।হুতোমের বর্ণনামালা। জমিদার, জোৎদার,মফঃস্বল,মুৎসুদ্দী, মধ্যস্বত্বভোগী,চাপলুসি(স্তাবকতা), রিস ওয়াৎ(ঘুষ),বে ইমানি,বে শরমি,বে হায়া, বে আদবি এমনকি পরশ্রী ও পরস্ত্রীকাতরতা সবই এলো সাহেবদের হাত ধরে।আজকের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, পরের বউ ফুসলানো,কথায় কথায় ডুয়েল লড়াই, জানালা গলে ঘরে ঢুকে পরকীয়া তাও এলো ওদের থেকেই। মনে হবে ধান ভানতে শিবের গাজন গাইছি।একটুও না।গাজন আমাদের ছিল কিন্তু ছুঁচোরকেত্তন ওদের দেওয়া।
এইভাবে থ্যাটারটাও যদি ওদের থেকে না নিতাম "রক্তকরবী","শর্মিষ্ঠা","চাঁদ বণিকের পালা","কীত্তনখোলা","যৈবতী কইন্যার মন","প্রাচ্য" আমরা পেতাম না?
ময়মনসিংহ গীতিকা ছিল।গীতগোবিন্দ ছিল।রবীন্দ্রনাথ গান লিখতেন বিদেশি সুর ছাড়াই।আর লালন,হাসান রোজা, পটের গান হোতো আমাদের চলচ্চিত্র।
শুধু নিন্দে করি কেন ওরা আমাদের সনেট দিয়েছে, সেক্সপিয়র দিয়েছে।প্রসেনিয়ম দিয়েছে বলেই না করে কম্মে খাচ্ছি।রোবিন থিয়েটার করে খেতে পেত কি না জানি না,তবে থিয়েটারেই বাঁচত।বিশেষ করে মফস্বলের প্রতিযোগিতা মঞ্চে আর নাট্য সভায়।এই সেদিনও মফস্বল ছিল একাংক নাটকের উদ্গাতা।সুস্থ বিনোদনের মিলন ক্ষেত্র।শহরের থিয়েটার কল শো করতে যেত নিজের তাগিদে, রসদ জোগাড়ের প্রয়োজনে। আজ আর্থ সামাজিক কারণে বাম আমলেই চিত্র পাল্টেছিল।আবার পাল্টাল।আগে ছিল শহরের নাট্যদাদা মফস্বলের ভাই।এখন সবাই।খড়দহর কনক রায় ওখানেই "চাঁদ বণিকের পালা" করেছিলেন।তার ছেলে দেবাশিস এই শহর দাপিয়ে থিয়েটার করে। গোবরডাঙার আশিস রবীন্দ্রভারতীর শিক্ষা কাজে লাগিয়েছে বাংলার মঞ্চে।তার মেয়ে ভূমিসুতা বাংলার গৌরব।এমন কতো নাম আছে।উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ।রবীন্দ্রনাথ দাস কিন্তু একটাই ছিল।আর কেউ যদি থাকেন যা আমার অজানা আমাকে জানাবেন।
অকাল প্রয়াণের আগে তার কথা যেন লিখে যেতে পারি।
এইভাবে থ্যাটারটাও যদি ওদের থেকে না নিতাম "রক্তকরবী","শর্মিষ্ঠা","চাঁদ বণিকের পালা","কীত্তনখোলা","যৈবতী কইন্যার মন","প্রাচ্য" আমরা পেতাম না?
ময়মনসিংহ গীতিকা ছিল।গীতগোবিন্দ ছিল।রবীন্দ্রনাথ গান লিখতেন বিদেশি সুর ছাড়াই।আর লালন,হাসান রোজা, পটের গান হোতো আমাদের চলচ্চিত্র।
শুধু নিন্দে করি কেন ওরা আমাদের সনেট দিয়েছে, সেক্সপিয়র দিয়েছে।প্রসেনিয়ম দিয়েছে বলেই না করে কম্মে খাচ্ছি।রোবিন থিয়েটার করে খেতে পেত কি না জানি না,তবে থিয়েটারেই বাঁচত।বিশেষ করে মফস্বলের প্রতিযোগিতা মঞ্চে আর নাট্য সভায়।এই সেদিনও মফস্বল ছিল একাংক নাটকের উদ্গাতা।সুস্থ বিনোদনের মিলন ক্ষেত্র।শহরের থিয়েটার কল শো করতে যেত নিজের তাগিদে, রসদ জোগাড়ের প্রয়োজনে। আজ আর্থ সামাজিক কারণে বাম আমলেই চিত্র পাল্টেছিল।আবার পাল্টাল।আগে ছিল শহরের নাট্যদাদা মফস্বলের ভাই।এখন সবাই।খড়দহর কনক রায় ওখানেই "চাঁদ বণিকের পালা" করেছিলেন।তার ছেলে দেবাশিস এই শহর দাপিয়ে থিয়েটার করে। গোবরডাঙার আশিস রবীন্দ্রভারতীর শিক্ষা কাজে লাগিয়েছে বাংলার মঞ্চে।তার মেয়ে ভূমিসুতা বাংলার গৌরব।এমন কতো নাম আছে।উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ।রবীন্দ্রনাথ দাস কিন্তু একটাই ছিল।আর কেউ যদি থাকেন যা আমার অজানা আমাকে জানাবেন।
অকাল প্রয়াণের আগে তার কথা যেন লিখে যেতে পারি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন