MON KHEROR KHATA

MON KHEROR KHATA
Memories

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বেল পাকলে কাকের কী?
সলিল সরকার
সুকুমার রায় সেই কবেই প্রশ্নটা মনের মধ্যে ঘুষিয়ে দিয়েছিলেন – ন্যাড়া “বেল” তলাতে যায় কিন্তু দিনের মধ্যে কতবার?পরে নিজেই তার উত্তরটাও দিয়ে দিয়েছিলেন সে কথায় পরে আসছি।এখন প্রশ্ন হোলো “কাক কী কাকের মাংস খায়?”সবাই জানেন না।কিন্তু এদেশের কাক কয়েক দিন আগে খেতে শুরু করেছিল।তাই দেখে আমরা যার পর নাই বিব্রত ও বিস্মিত!
কথায় বলে “চোরে চোরে মাস্তুতো ভাই”।এই পুরুষতান্ত্রিক ব্যপারটা এখন আর নেই।এখন চোরে চোরে ভাই-বোনও হয়।কী বল্লেন হয় না?হয় হয় Zনতি পারেন না।কতো ভুল যে আজও চলছে!সবাই বলে “চোরের মায়ের বড়ো গলা”!কেন রে বাবা(থুড়ি মা)চোরের কি দিদি বোন থাকতে নেই?চোরের দিদিরও তো গলা বড়ো হোতে পারে?
কবিরা না কি সত্যদ্রষ্টা হন?গুরুদেব তার গীতিনাট্যে কবেই চ্যাঁচালেন – ঐ চোর,ওই চোর বলে!কিন্তু কে চুরি করেছিল আর কে ধরা পড়েছিল?কে জেল খেটেছিল?কে “বেল” পেয়েছিল?এই যাহ আবার সেই বেলের কথায় এসে পড়লাম?
আগে গাছে থরে থরে পাকা বেল ঝুলত।মাটিতে পড়লে তবেই কুড়োত।এখন কাউকে ঝুলিয়ে রাখলে লোকে রেগেমেগে বলে-“খামোকা লোকটাকে ঝুলিয়ে রেখেছে কেন?কাকে যদি খেয়ে নেয়?” তার মানে কাকেও এখন পাকা বেলের সরবত খাচ্ছে?
লোকে বলে-‘পচা ভাদ্র!’কোন পচা বলে রে?ভাদ্রেও ধান পাকে।বেল পাকে।সিদ্ধিদাতা গণেশ সিদ্ধি পানের ব্যবস্থা করেন।এর পর বিশ্বকর্মা পুজো আসছে।শ্রমিক-মজুর শ্রেণী তাকে আজকাল বিশ্বকর্মা না বলে নিঃস্ব-অকর্মা বলছে গায়ের জ্বালায়।শিল্প নেই তো কী?আমাদের আশে পাশে শিল্পীর কী অভাব ঘটিয়াছে?পেশাগত পোষ্য শিল্পীরা “উন্নয়ন”, “উন্নয়ন” বলিয়া ধামসা-মাদল ও নিজ ঢাক পেটাইতেছেন না?সদ্য বেল পাকাতে তারাও তেলে সলতে পাকাতে শুরু করেছেন।
আর আশ্বিনের শারদপ্রাতে আসার আগেই ঢাকে কাঠি পড়ল।‘চালাও পানসি বেলঘরিয়া!’আবার বেল?কেন ঘড়িয়ালরা গেল কোথায়?তেলে ব্যস্ত?না জলে?
সবাই জানে “তেলে-জলে মিশ খায় না” এখন থেকে সবাই শিখবে “জেলে-বেলে”ও মিশ খায় না।কতো চোরই তো জেল খাটে কিন্তু সবাই কি বেল পায়?না বেল খায়?
আবার ফিরে আসি সুকুমার রায়ে.........ন্যাড়া বেল তলাতে নিদেন পক্ষে পঁচিশবার যায়।সবে একবার হোল।এখনও চব্বিশবার বাকি।

বিশেষ ভ্রমঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় একবার ফেসবুকে ‘প্ল্যানচেট’ নিয়ে লেখার পর পাড়ার কয়েকজন চুয়াড় জুয়ার আড্ডা ছেড়ে প্ল্যানচেটে বসেছিল।সেখানে কয়েকজন চিটফান্ডে টাকা খুইয়ে আত্মহত্যাকারী ভূত নেমে এইসব লিখে গেছে।তারই প্রতিলিপি পড়েছিল ডেংগুর আস্তানায়।ব্লিচিং দিয়ে সাফ করে সেটাই তুলে দেওয়া হোলো মন খারাপের খাতায়।

1 টি মন্তব্য:

  1. Piyali Palit অসাধারণ !
    Like · Reply · 3 hrs
    Ruddro Mondal
    Ruddro Mondal লেখার গাঁথুনী চৎমকার।
    Like · Reply · 1 hr

    উত্তরমুছুন