মন খেরোর খাতা
তরণীসেন বধ পালা
সলিল সরকার
এই দু দিনে আমাদের করা যাত্রাপালা ও প্রযোজনা নিয়ে এতো আলোচনায় আমি অভিভূত কেন না এই প্রযোজনায় যুক্ত মানুষজন লেখাটার সংগে নতুন করে যোগ দিয়ে ইতিহাস সম্পূর্ণ করতে সাহায্য করছে।
প্রথমেই গৌরবন্ধুর কথা বলি গৌর আমাদের সমবয়সী হলেও বিভাগে আমাদের জুনিয়র ছিল।পরে কলকাতা দূরদর্শনে চাকরি পায়।ওর দিদি গৌরী আমাদের সংগে পড়ত।যদ্দুর মনে পড়ছে গৌর ও একটা চরিত্র করত।আর গৌর যেটা লিখেছে সেটাও ঠিক কেন না আগেই বলেছি শৈশবে দেখা যাত্রাপালার মতো এখানেও পালার শুরুতে আইটেম ডান্স ছিল।
কনসার্ট এ ছিল ফ্লুট, ক্ল্যারিওনেট, ভায়োলিন, তবলা,ঝাঁঝ,কাঁসর,হারমোনিয়াম আর এফেক্ট।অভিনয়ে সাবেকি ধারা আনার চেষ্টা ছিল।সাজসজ্জা, পোশাক এসবেও যত্নবান ছিলেন গণেশবাবু।
অলোকের কথা আগেই লিখেছি।অলোক কিছু কথা মনে করিয়েও দিয়েছে।যেভাবে অপরূপ মনে করাল।অপরূপের বাবা একটা পত্রিকা চালাতেন যেখানে আমি প্রবন্ধ লিখেছি।অপরূপ যাত্রা ও পরে প্রাইভেট চ্যানেলে যুক্ত হয়।
দেবাশিস ও অরুণীতা শূদ্রকের সংগে যুক্ত হয়েছিল আর বহুরূপীতেও ছিল অরুণীতা।দেবাশিস নাট্যশোধে ও পরে রবীন্দ্রভারতীতে অধ্যাপক হয়।মানসী আমাদের জুনিয়র আর প্রতিমা আমাদের সংগে পড়তে আসার আগে থেকেই বিভিন্ন দলে অভিনয় করত।
পলাশ ফোটোগ্রাফিটা নেশা থেকে পেশায় পাল্টে নেয়।ইংরেজি নাটকের সংগে যুক্ত ছিল।অমিতাভ গণকৃষ্টি নাট্য দলের প্রধান।বিজয় বেথুয়াডহরীর ছেলে।প্রতীক পড়তে পড়তেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ছিল।এখানে অনেকের কথাই উল্লেখ করিনি তারা তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না এমনটি নয়।আমি সামগ্রিক ইতিহাস উস্কে দিতে চেয়েছিলাম।অভিনয়ে গণেশবাবু পেশাদারী প্রথায় বিকল্প রেখেছিলেন যার কারণেই অনেকেই নাম বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।
দেবেশ বিভাগে পড়তে এলেও ফুটবল খেলাতেই বেশি আগ্রহ ছিল।ওকে বহুরূপীতে আমরাই জোর করে পাঠাই।এখন দেবেশ প্রতিষ্ঠানের ও প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা।
এই পালায় হ্যাজাকের আলো ব্যবহার সবাই খুব উপভোগ করেছিলেন।প্রবেশ প্রস্থান আদি প্রথাতেই হয়েছিল।তবে সেকালের যাত্রার মতো প্রবেশ ও প্রস্থান কালে "গেট" নেওয়া ছিল না।
এই গেট নেওয়া ব্যাপারটা আজকের প্রজন্মের জানার কথা নয়।মঞ্চে অভিনয় করে প্রস্থান কালে কিনারে এসে অতিরিক্ত ভঙ্গিতে সংলাপ ও কসরৎ দেখানো ছিল হাততালি কুড়ানোর কৌশল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন