MON KHEROR KHATA

MON KHEROR KHATA
Memories

বুধবার, ২৮ জুন, ২০১৭

অন্তরঙ্গ নাট‍্য5
পোস্টমর্টেম পারফরম্যান্স করার সময় যখনই কলাকুশলীদের নির্বাচন এর পর্যায় আসে আমি সচেতনভাবে প্রসেনিয়ম থিয়েটারের প‍্যাঁচ পয়জারে অভ‍্যস্ত অভিনেতাদের এড়িয়ে চলি।তার একটাই কারণ এরা ওপেন স্পেস বা ইন্টিমেট স্পেসে এসেও অকারণে উচ্চকিত করে ফেলে নিজেকে নয়ত আড়ষ্ট বোধ করে।এদের অধিকাংশই ভাবেন প্রসেনিয়ম হলো ম‍্যানারিজম আর ম‍্যাজিক প্রদর্শন কেন্দ্র।তারা একটা দূরত্ব সৃষ্টি করে আধো আলো অন্ধকারে মায়া সৃষ্টি কখনও বা সীমাবদ্ধতা ঢাকতে আপ্রাণ প্রয়াসী হন।আর এর ব‍্যতিক্রমীরাই আমাদের দেশের অবিজ্ঞান প্রসেনিয়মেই উল্লেখ যোগ‍্য উপস্থাপন ঘটান।আমার দেখা উৎপল দত্ত, শম্ভু মিত্র, অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়।আর সাম্প্রতিক কালে দেখলাম দেবাশিস রায়ের হৃদিপাশ প্রযোজনায়।মোহিত মৈত্র মঞ্চের সীমাবদ্ধতা মাথায় রেখেই অডিটোরিয়ামের পরিসরে বেরিয়ে এসে দর্শক ও কলাকুশলীদের মধ‍্যের বেড়াটা ভেঙে দিচ্ছে বারবার।এর কারণ দেবাশিস খড়দহে হলঘরে যখন নাটক প্রযোজনা করত সেখানে সে এটার শিক্ষা পেয়েছে।এমনকি সে অনভিজ্ঞ কলাকুশলীদের সংগে অভিজ্ঞদের মিশিয়ে একটা সিম্ফনি সৃষ্টি করছে যা দেখবার মতোই।
আমি মনে করি যারা শিল্পের যে কোনো শাখায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তাদের দিয়ে নাট‍্যের কাজ করা অনেকটাই নবতর ব‍্যঞ্জণার সম্ভবনাময়।তাই "ভাতজোছনা"য় কলাভবনের ছেলেমেয়েদের উপযুক্ত মনে করেছিলাম।পাশাপাশি বাইরের থেকে যাদের নিলাম তাদের একজন ফকির একরাম যে অপটু কণ্ঠে অজস্র লোকায়ত গান অবিরাম গেয়ে যেতে পারে।আর এলো সুকুরমনি।একটি আদিবাসী কিশোরী।পড়াশোনা করে।
একরামের কাজ ছিল শুরু থেকে শেষ অব্দি উপস্থাপনে কথা ও গানে মুহুর্তের মালা গাঁথা।আর সুকুরমনি আসত স্বপ্নে।
কর্মা,জমি,মিমি এদের সংগে একরাম আর সুকুরমনি চমৎকার মিশে গিয়েছিল।
ওই ওপেন স্পেসে কল্পিত সীমারেখার মধ‍্যে অভিনয়ে যথেষ্ট অনুশীলনের প্রয়োজন হয়।তারা তা করেছিল।হাজার দর্শকের উপস্থিতি তাই তাদের কাছে বাধা হয়ে ওঠেনি।
(ক্রমশ)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন