অন্তরঙ্গ নাট্য6
মালদা থেকে এসেছিল ছেলেটি পরিমল ত্রিবেদীর একটা চিঠি নিয়ে।এই শহরের রবীন্দ্রভারতীর নাটক বিভাগে পড়বে আর নাটকের কাজ করবে।কথায় কথায় জানলাম বাবা ডাক্তার, দাদা দিদি চাকরি করেন।
বাস্তুভিটে নির্মাণের প্রথম প্রযোজনা সেখানে একটি চরিত্রে নিলাম।
বাস্তুভিটে বারো মাসে তেরোটা শো করেছিলাম অনেক টাকা ব্যয় করে।সংসার চালানোর টাকা চলে যেত নাটকের কাজে।আমি আর অপর্ণা যা আয় করি সব যায় ওখানে।আর এক বন্ধুভাই টাকা যোগাত।দলের কাউকে এক টাকাও চাইনি কোনদিন।তারাও দেয়নি।তাদের আমি পেশাদার হতে শিখিয়েছিলাম।দাদাগিরি আমার চির কালের না পসন্দ্।তাই এক সময় থামিয়ে দিলাম ঠিক যেমন হুট করে শুরু করেছিলাম "একটি নির্মাণ প্রয়াস"।বাকি ইতিহাস লিখছি না কারণ সেটা নাট্যের অন্তরঙ্গ দিক ছিল না।
থামিয়ে দিলাম তবু থামল না।আমরা দুজনেই থিয়েটারের কাজ করে যাচ্ছি দেখে কয়েকটি যুবক সংগে লেগেই থাকল।তার মধ্যে সুপ্রিয় একজন যে ততদিনে বিভাবন নাম দিয়ে ইন্টিমেট থিয়েটার করছে নানা জায়গায়।এর মধ্যে সুপ্রিয় বাদলবাবু থেকে প্রবীরের নাট্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে।আমাকে দেখতে ডাকছে।
বহুকাল পরে সেই সুপ্রিয়র আমন্ত্রণে এলাম শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় "উৎসারিত বর্ণমালা" নিয়ে।এই পারফরম্যান্স পুরোটাই প্রেমের আন্দোলন।রবীন্দ্রনাথ,লালনের গান আর আমার আঁকা ও লেখা কবিতা।
পারফর্ম করলাম আমরা চারজন।রবি গানে সঙ্গীতা,লালনের গানে মঞ্জু বারিক বাউল আর আমার সংগে আমাদের মেয়ে তিথিপর্ণা।
এই পারফরম্যান্স এর অন্তর পোস্টমর্টেম হলেও বহিরঙ্গে অবশ্যই অন্তরঙ্গ বা ইন্টিমেট থিয়েটার।পারফরম্যান্স শুরুই হয় তিন নারীর গড়ে তোলা রিচুয়ালস দিয়ে।এটা যে একটা পারফরম্যান্স সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি।আবার অনেকেই এর মধ্যে পেয়েছিল প্রেম সুধারসের সন্ধান।বিশেষ করে যারা অন্তরঙ্গ নাট্য ভাষার সন্ধান করছেন।
ওপেন স্পেস থেকে এইভাবে ইন্টিমেট স্পেসে ঢুকে পড়া আমার কাছেও ছিল পোস্টমর্টেম এর আর এক দিক যা তখনো অসম্পূর্ণ প্রযোজনা প্রক্রিয়া।
(ক্রমশ)
মালদা থেকে এসেছিল ছেলেটি পরিমল ত্রিবেদীর একটা চিঠি নিয়ে।এই শহরের রবীন্দ্রভারতীর নাটক বিভাগে পড়বে আর নাটকের কাজ করবে।কথায় কথায় জানলাম বাবা ডাক্তার, দাদা দিদি চাকরি করেন।
বাস্তুভিটে নির্মাণের প্রথম প্রযোজনা সেখানে একটি চরিত্রে নিলাম।
বাস্তুভিটে বারো মাসে তেরোটা শো করেছিলাম অনেক টাকা ব্যয় করে।সংসার চালানোর টাকা চলে যেত নাটকের কাজে।আমি আর অপর্ণা যা আয় করি সব যায় ওখানে।আর এক বন্ধুভাই টাকা যোগাত।দলের কাউকে এক টাকাও চাইনি কোনদিন।তারাও দেয়নি।তাদের আমি পেশাদার হতে শিখিয়েছিলাম।দাদাগিরি আমার চির কালের না পসন্দ্।তাই এক সময় থামিয়ে দিলাম ঠিক যেমন হুট করে শুরু করেছিলাম "একটি নির্মাণ প্রয়াস"।বাকি ইতিহাস লিখছি না কারণ সেটা নাট্যের অন্তরঙ্গ দিক ছিল না।
থামিয়ে দিলাম তবু থামল না।আমরা দুজনেই থিয়েটারের কাজ করে যাচ্ছি দেখে কয়েকটি যুবক সংগে লেগেই থাকল।তার মধ্যে সুপ্রিয় একজন যে ততদিনে বিভাবন নাম দিয়ে ইন্টিমেট থিয়েটার করছে নানা জায়গায়।এর মধ্যে সুপ্রিয় বাদলবাবু থেকে প্রবীরের নাট্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে।আমাকে দেখতে ডাকছে।
বহুকাল পরে সেই সুপ্রিয়র আমন্ত্রণে এলাম শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় "উৎসারিত বর্ণমালা" নিয়ে।এই পারফরম্যান্স পুরোটাই প্রেমের আন্দোলন।রবীন্দ্রনাথ,লালনের গান আর আমার আঁকা ও লেখা কবিতা।
পারফর্ম করলাম আমরা চারজন।রবি গানে সঙ্গীতা,লালনের গানে মঞ্জু বারিক বাউল আর আমার সংগে আমাদের মেয়ে তিথিপর্ণা।
এই পারফরম্যান্স এর অন্তর পোস্টমর্টেম হলেও বহিরঙ্গে অবশ্যই অন্তরঙ্গ বা ইন্টিমেট থিয়েটার।পারফরম্যান্স শুরুই হয় তিন নারীর গড়ে তোলা রিচুয়ালস দিয়ে।এটা যে একটা পারফরম্যান্স সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি।আবার অনেকেই এর মধ্যে পেয়েছিল প্রেম সুধারসের সন্ধান।বিশেষ করে যারা অন্তরঙ্গ নাট্য ভাষার সন্ধান করছেন।
ওপেন স্পেস থেকে এইভাবে ইন্টিমেট স্পেসে ঢুকে পড়া আমার কাছেও ছিল পোস্টমর্টেম এর আর এক দিক যা তখনো অসম্পূর্ণ প্রযোজনা প্রক্রিয়া।
(ক্রমশ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন