অন্তরঙ্গ নাট্য4
পারফরমেন্স স্পেস গড়ে উঠতে উঠতে অভিনেতা হয়ে ওঠার আলোচনাটা সেরে ফেলা যাক।এই ব্যাপারটা কিন্তু চাপিয়ে দেওয়া ছিল না।টেক্সটের বাহ্যিক অর্থ আর অন্তর চলন কী হতে পারে সেটা ওই গড়ে ওঠা স্পেসেই প্র্যাকটিস করতে করতেই নির্মিত হতে থাকে।স্ক্রিপ্টের ভাষা বাংলা, ইংরাজি, মালায়লাম,হিন্দি এমনকি স্থানীয় ডায়লেক্ট তাও স্থান করে নিচ্ছে।কারণ থাইল্যান্ডের কর্মা সিরিগোকর মালায়ালি জমি, বাঙালি মিমি, স্থানীয় ফকির একরাম আলি, ভূমিকন্যা সুকুরমনি কমিউনিকেট করছে নিজেদের মধ্যে আবার প্রতিদিন মহড়া দেখতে আসা দর্শকদের সংগেও।যেহেতু সবটাই ওপেন স্পেসে হচ্ছে যার কারণে শ্রমজীবী মানুষরাই কাজ শেষে ফেরার পথে দাঁড়িয়ে দেখতে দেখতে অভিনেতাদের সংগে সংলাপ মুখস্থ করছে,ভাষা বিনিময় করছে।নির্দেশক আমি শুধু নিয়ন্ত্রণ করছি।আটকে দিচ্ছি না।নাট্যের মুহুর্ত গড়ে উঠতে সাহায্য করছি।এর ফাঁকে আমি কলাকুশলীদের মানসিক দ্বন্দ্ব ও তত্ত্ব থেকে প্রয়োগ এর বিষয়টা অনুধাবন করছি।বারবার নিজেকে বোঝাচ্ছি এরা কেউই ট্রেন্ড অভিনেতা নয় আর তাই উঠে আসছে এক ভিন্নতর বিন্যাস।
দেখতে আসা নাট্যবোদ্ধাদের কারো কারো মনে হয়েছিল অভিনয়ে খামতি আছে।আমি তাদের একবারের জন্যেও স্মরণ করিয়ে দিইনি আপনারা কি কাঙ্খিত অভিনয়ে পৌঁছতে পারেন।আসলে তারা প্রথাগত প্রসেনিয়মের নিগড় থেকে বেরুতে পারছিলেন না।তাদের যদি বলা হোত ওই বিশাল স্পেস জুড়ে অভিনয় করতে ও সারাক্ষণ স্পেসে সক্রিয় ভূমিকায় উপস্থিত থাকতে তারা অস্বীকার করতেন।
পোস্টমর্টেম পারফরমেন্স অনেকটা মাঠে বাইশজনের ফুটবল খেলার মতো।
এর মধ্যে আর একটা বিষয় উঠে আসছিল কলাকুশলীরা প্রতিদিন অনুশীলনে ক্লান্ত ও বিরক্ত হচ্ছিল।এটা যে হবে তা নাট্যের মানুষ আমার জানা।তাই অনুশীলনের অবসরে কিছু খেলা কিছু শিথিল আলাপচারিতা থেকে ফিরিয়ে আনতে হোত তাদের।এখানে পরিচালকের অসীম সহিষ্ণুতা প্রয়োজন।কারণ থিয়েটার দৈনন্দিন জীবনেরই শিল্পিত রূপ।তফাৎ সংসারে ঘটে চলে,এখানে সচেতনভাবে ঘটানো হয়।একইসংগে প্রস্তুত থাকতে হয় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিকে অভিনয় উপস্থাপনায় অনুকূলে আনা।খুব দক্ষ কলাকুশলীদের কাছেও যা অনায়াস সাধ্য নয়।
কলাকুশলীদের অধিকাংশই যেহেতু কলাভবনের তাই তারা স্পেসটার পরিবর্তনকে ক্যানভাসে রঙ চাপানো বা কাঠ কি পাথর কুঁদে ভাস্কর্যে পৌঁছনোর মতোই দেখছিল।আর এর ফলে অনেকেই মাঠের সাইডলাইন থেকেও খেলায় যোগ দিতে থাকল নানান ভূমিকায়।
(ক্রমশঃ)
পারফরমেন্স স্পেস গড়ে উঠতে উঠতে অভিনেতা হয়ে ওঠার আলোচনাটা সেরে ফেলা যাক।এই ব্যাপারটা কিন্তু চাপিয়ে দেওয়া ছিল না।টেক্সটের বাহ্যিক অর্থ আর অন্তর চলন কী হতে পারে সেটা ওই গড়ে ওঠা স্পেসেই প্র্যাকটিস করতে করতেই নির্মিত হতে থাকে।স্ক্রিপ্টের ভাষা বাংলা, ইংরাজি, মালায়লাম,হিন্দি এমনকি স্থানীয় ডায়লেক্ট তাও স্থান করে নিচ্ছে।কারণ থাইল্যান্ডের কর্মা সিরিগোকর মালায়ালি জমি, বাঙালি মিমি, স্থানীয় ফকির একরাম আলি, ভূমিকন্যা সুকুরমনি কমিউনিকেট করছে নিজেদের মধ্যে আবার প্রতিদিন মহড়া দেখতে আসা দর্শকদের সংগেও।যেহেতু সবটাই ওপেন স্পেসে হচ্ছে যার কারণে শ্রমজীবী মানুষরাই কাজ শেষে ফেরার পথে দাঁড়িয়ে দেখতে দেখতে অভিনেতাদের সংগে সংলাপ মুখস্থ করছে,ভাষা বিনিময় করছে।নির্দেশক আমি শুধু নিয়ন্ত্রণ করছি।আটকে দিচ্ছি না।নাট্যের মুহুর্ত গড়ে উঠতে সাহায্য করছি।এর ফাঁকে আমি কলাকুশলীদের মানসিক দ্বন্দ্ব ও তত্ত্ব থেকে প্রয়োগ এর বিষয়টা অনুধাবন করছি।বারবার নিজেকে বোঝাচ্ছি এরা কেউই ট্রেন্ড অভিনেতা নয় আর তাই উঠে আসছে এক ভিন্নতর বিন্যাস।
দেখতে আসা নাট্যবোদ্ধাদের কারো কারো মনে হয়েছিল অভিনয়ে খামতি আছে।আমি তাদের একবারের জন্যেও স্মরণ করিয়ে দিইনি আপনারা কি কাঙ্খিত অভিনয়ে পৌঁছতে পারেন।আসলে তারা প্রথাগত প্রসেনিয়মের নিগড় থেকে বেরুতে পারছিলেন না।তাদের যদি বলা হোত ওই বিশাল স্পেস জুড়ে অভিনয় করতে ও সারাক্ষণ স্পেসে সক্রিয় ভূমিকায় উপস্থিত থাকতে তারা অস্বীকার করতেন।
পোস্টমর্টেম পারফরমেন্স অনেকটা মাঠে বাইশজনের ফুটবল খেলার মতো।
এর মধ্যে আর একটা বিষয় উঠে আসছিল কলাকুশলীরা প্রতিদিন অনুশীলনে ক্লান্ত ও বিরক্ত হচ্ছিল।এটা যে হবে তা নাট্যের মানুষ আমার জানা।তাই অনুশীলনের অবসরে কিছু খেলা কিছু শিথিল আলাপচারিতা থেকে ফিরিয়ে আনতে হোত তাদের।এখানে পরিচালকের অসীম সহিষ্ণুতা প্রয়োজন।কারণ থিয়েটার দৈনন্দিন জীবনেরই শিল্পিত রূপ।তফাৎ সংসারে ঘটে চলে,এখানে সচেতনভাবে ঘটানো হয়।একইসংগে প্রস্তুত থাকতে হয় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিকে অভিনয় উপস্থাপনায় অনুকূলে আনা।খুব দক্ষ কলাকুশলীদের কাছেও যা অনায়াস সাধ্য নয়।
কলাকুশলীদের অধিকাংশই যেহেতু কলাভবনের তাই তারা স্পেসটার পরিবর্তনকে ক্যানভাসে রঙ চাপানো বা কাঠ কি পাথর কুঁদে ভাস্কর্যে পৌঁছনোর মতোই দেখছিল।আর এর ফলে অনেকেই মাঠের সাইডলাইন থেকেও খেলায় যোগ দিতে থাকল নানান ভূমিকায়।
(ক্রমশঃ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন