অন্তরঙ্গ নাট্য3
শিল্প সৃজনে দুটো দিক থাকে।এক, তাগিদ।দুই, প্রয়োজন।এই প্রয়োজনের দুটি দিক থাকে।একটা অর্থের প্রয়োজন।আর একটা সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন।
তাগিদ কথাটা লিখলাম কারণ অন্তরের তাগিদ না থাকলে সময়ের তাগিদ না থাকলে কোনোও শিল্প সৃজন সম্ভব নয়।যে বা যারা বলেন আমি রাজনীতি বুঝি না শিল্প করি।কেউ বলেন এটা করেই আমার পেট চলে।এরা কেউই উপরের কথাগুলো অস্বীকার করতে পারেন না।
বাংলার নাট্যচর্চায় ছোট বড় ও অনুবাদ মিলিয়ে পঞ্চাশের মতো নাটক লিখেছি যার অধিকাংশই মঞ্চস্থ ও পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত আর তার সবই ছিল প্রসেনিয়ম মঞ্চের নাটক।তার মধ্যে কয়েকটা আবার এখনকার বাংলা নাট্যের "মহারথী"দের কাছে সযত্নে রক্ষিত রয়েছে।বাংলাদেশের ঢাকা চট্টগ্রাম বগুড়া যশোর খুলনার নাট্যকর্মীরা বেশ কিছু প্রযোজনা আন্তরিকতার সংগেই প্রসেনিয়ম মঞ্চে করেছেন।তারপরেও কেন মনের ভিতরে সাড়া পাচ্ছিলাম না নতুন নাটক লেখার।নাট্যরথীরা সবাই বলেন উপযুক্ত নাটককার আর নাটকের বড়ই অভাব।কেউ কি উল্টোটা কখনোও ভেবেছেন নাটকের মাপের উপযুক্ত নাট্য উপস্থাপকের অভাবটাই প্রকট। কেউ কি ভেবেছেন কেন আজ পরিচালনায় নয় প্রচারেই আত্মপ্রচারেই নাট্যের হাতি শোভাযাত্রায় বেরিয়েছে পথে।সারা বাংলায় কেন নেই একটিও বিজ্ঞানসম্মত মঞ্চ।কেন নেই একটিও স্টুডিয়ো থিয়েটার।জাতীয় নাট্যশালা খায় না মাথায় দেয় এ প্রজন্ম জানতেও পারল না।তার দায় আমরা এড়াব কোন্ আত্মমহিমায়?এইখানেই অন্তরঙ্গ থিয়েটার তার আসন পেতেছে।যদিও আমি মনে করি বাংলা থেকে প্রসেনিয়ম চর্চা পুরোপুরি অপসৃত হবে না দীর্ঘ নাট্য ঐতিহ্য আর এ কালের প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতায়।অপরদিকে ভিন্নধারার থিয়েটার প্রতিষ্ঠান বিরোধিতায় ও অনাড়ম্বর উপস্থাপনায় ক্রমে ক্রমে প্রসারিত হতে থাকবে।
"ভাতজোছনা" লিখেছিলাম শিল্পের অজুহাতে কৃষকদের উপর গুলি চালানোর উদ্ধত অহংকারের বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে।স্পেস পেলাম শান্তিনিকেতনে এসে।কলাভবনের অঅভিনেতাদের মনে হোল এ নাটকের উপযুক্ত উপস্থাপক হতে পারে।তারা প্রথাগত নাট্যশিক্ষায় শিক্ষিত নয় বা তারা প্রথাগত নাটুকে প্যাঁচ পয়জারে অভস্ত্য নয়।তারা লিখিত স্ক্রিপ্টের মধ্যে চিত্রের ভাষা সন্ধান শুরু করল।স্পেস ব্যবহারের সূত্র সন্ধানে শুরুতেই তাদের নিয়ে তর্ক জুড়লাম।এক সংগে সঞ্চয়নের সহযোগিতায় স্পেস ধীরে ধীরে নাট্যের দাবি মেনে গড়ে উঠতে থাকে।ঘাসের জমি পাল্টে হয়ে যাচ্ছে অভিনয়ের স্পেস।
(ক্রমশঃ)
শিল্প সৃজনে দুটো দিক থাকে।এক, তাগিদ।দুই, প্রয়োজন।এই প্রয়োজনের দুটি দিক থাকে।একটা অর্থের প্রয়োজন।আর একটা সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন।
তাগিদ কথাটা লিখলাম কারণ অন্তরের তাগিদ না থাকলে সময়ের তাগিদ না থাকলে কোনোও শিল্প সৃজন সম্ভব নয়।যে বা যারা বলেন আমি রাজনীতি বুঝি না শিল্প করি।কেউ বলেন এটা করেই আমার পেট চলে।এরা কেউই উপরের কথাগুলো অস্বীকার করতে পারেন না।
বাংলার নাট্যচর্চায় ছোট বড় ও অনুবাদ মিলিয়ে পঞ্চাশের মতো নাটক লিখেছি যার অধিকাংশই মঞ্চস্থ ও পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত আর তার সবই ছিল প্রসেনিয়ম মঞ্চের নাটক।তার মধ্যে কয়েকটা আবার এখনকার বাংলা নাট্যের "মহারথী"দের কাছে সযত্নে রক্ষিত রয়েছে।বাংলাদেশের ঢাকা চট্টগ্রাম বগুড়া যশোর খুলনার নাট্যকর্মীরা বেশ কিছু প্রযোজনা আন্তরিকতার সংগেই প্রসেনিয়ম মঞ্চে করেছেন।তারপরেও কেন মনের ভিতরে সাড়া পাচ্ছিলাম না নতুন নাটক লেখার।নাট্যরথীরা সবাই বলেন উপযুক্ত নাটককার আর নাটকের বড়ই অভাব।কেউ কি উল্টোটা কখনোও ভেবেছেন নাটকের মাপের উপযুক্ত নাট্য উপস্থাপকের অভাবটাই প্রকট। কেউ কি ভেবেছেন কেন আজ পরিচালনায় নয় প্রচারেই আত্মপ্রচারেই নাট্যের হাতি শোভাযাত্রায় বেরিয়েছে পথে।সারা বাংলায় কেন নেই একটিও বিজ্ঞানসম্মত মঞ্চ।কেন নেই একটিও স্টুডিয়ো থিয়েটার।জাতীয় নাট্যশালা খায় না মাথায় দেয় এ প্রজন্ম জানতেও পারল না।তার দায় আমরা এড়াব কোন্ আত্মমহিমায়?এইখানেই অন্তরঙ্গ থিয়েটার তার আসন পেতেছে।যদিও আমি মনে করি বাংলা থেকে প্রসেনিয়ম চর্চা পুরোপুরি অপসৃত হবে না দীর্ঘ নাট্য ঐতিহ্য আর এ কালের প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতায়।অপরদিকে ভিন্নধারার থিয়েটার প্রতিষ্ঠান বিরোধিতায় ও অনাড়ম্বর উপস্থাপনায় ক্রমে ক্রমে প্রসারিত হতে থাকবে।
"ভাতজোছনা" লিখেছিলাম শিল্পের অজুহাতে কৃষকদের উপর গুলি চালানোর উদ্ধত অহংকারের বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে।স্পেস পেলাম শান্তিনিকেতনে এসে।কলাভবনের অঅভিনেতাদের মনে হোল এ নাটকের উপযুক্ত উপস্থাপক হতে পারে।তারা প্রথাগত নাট্যশিক্ষায় শিক্ষিত নয় বা তারা প্রথাগত নাটুকে প্যাঁচ পয়জারে অভস্ত্য নয়।তারা লিখিত স্ক্রিপ্টের মধ্যে চিত্রের ভাষা সন্ধান শুরু করল।স্পেস ব্যবহারের সূত্র সন্ধানে শুরুতেই তাদের নিয়ে তর্ক জুড়লাম।এক সংগে সঞ্চয়নের সহযোগিতায় স্পেস ধীরে ধীরে নাট্যের দাবি মেনে গড়ে উঠতে থাকে।ঘাসের জমি পাল্টে হয়ে যাচ্ছে অভিনয়ের স্পেস।
(ক্রমশঃ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন