ত্বিষাম্পতির জীবন যাপন
সলিল সরকার
২.
শ্যামবাজার থেকে বাস ছেড়ে দুর্গাপুর পৌঁছতে যে সময় লাগবে ততক্ষণে কিছু ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক।যাত্রা শুরু করেছি সদ্য আসা অনেক আশার বামফ্রন্টের কালে কিন্তু তার আগের কালো দিনগুলোর কথা না বললে ত্বিষাম্পতির দিনলিপি অহেতুক অমিতাক্ষর।
সেই জরুরি অবস্থায় বাংলা নাটক রূপকের আড়ালে আশ্রয় নিয়ে টিকে থাকতে চাইছে।সেই সময় থিয়েটার কমিউন নীলকণ্ঠ সেনগুপ্তের নেতৃত্বে করছিল মোহিত চট্টোপাধ্যায় এর "স্বদেশী নক্সা" (যার রঙ্গনা মঞ্চের শো আধখানা দেখে বেরিয়ে এসেছিলাম)। এবার নীলকণ্ঠ নিজেই কলম ধরে লিখলেন "কিং কিং" এও রূপক তবে তুলনায় অনেক প্রত্যক্ষ।মিনার্ভা মঞ্চে দেখলাম আমার চেয়ে বছর পাঁচেকের বড়ো এক নাদুসনুদুস দাদা কী অসাধারণ অভিনয় করছে।সেই নাটকের মঞ্চসজ্জায় তরুণ কবি দেবাশিস মজুমদার।নাটক যে বেশি শো হোলো তা নয় তবে তখন কবির হাতের কলম লিখতে শুরু করেছে নাটক।মুন্সী প্রেমচন্দ্র এর "কফন" থেকে "দানসাগর"।মোহিত চট্টোপাধ্যায় এর পরে আর এক প্রতিশ্রুতিময় কবি "অভিমান" পত্রিকা সম্পাদনার পাশাপাশি বাংলা মঞ্চে জড়িয়ে পড়লেন।এর কিছুদিন পরে সেই কবি তার ভাই সুহৃদ সম্পাদক আর এক কবি গৌতম চৌধুরীকেও টেনে নেবে নবগঠিত নাট্যগোষ্ঠীতে সে কথায় পরে আসব।আপাতত ফেরা যাক দানসাগর প্রযোজনা মঞ্চে।শুধু দুই লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত ঘিসু মেধো "নবান্ন" নাটকের পর নিরন্ন জীবনের ছেঁড়া চালচিত্রকে তুলে ধরল অসাধারণ নৈপুণ্যে।এর মধ্যে মনোজ মিত্রের "চাক ভাঙা মধু" প্রযোজনা করেছে থিয়েটার ওয়র্কশপ।সেখানে বিভাস চক্রবর্তী, মায়া ঘোষ আর অশোক মুখোপাধ্যায় দুরন্ত অভিনয় করলেও নাটকের খোলনলচে অনেকটাই পূর্বধারার এবং একাঙ্ক নাটকের কাঠামোয়।দানসাগর কিন্তু দেখাল সংলাপের বেড়াভাঙা চাঁছাছোলা এক নতুন রীতি যেখানে দুটি চরিত্র ঘিসু আর মেধো আমাদের শহর কলকাতার ঝোপড়পট্টিতেই থাকে যাদের জীবন যাপন বাসের জানালা থেকে দেখা।ঘিসুরূপী নীলকণ্ঠ আর মেধো দ্বিজেন অভিনয়ে সওয়াল জবাব।মঞ্চসজ্জায় আগুনের শিখা আর জোনাকির আলো হয়ত তেমন নিপুণ ছিল না কিন্তু সেদিকে চোখ যাবার আগেই চোখ টানত দুই আদুড় উদোম চরিত্র।দানসাগর বুঝিয়ে দিল বাংলা নাটক নতুন পথ খুঁজছে।আর বোঝাল বাংলা নাটক আর এক নাট্যকার পেতে চলেছে।কিন্তু সে সুখ বেশিদিন সইল না।বাংলা গ্রুপ থিয়েটার,নবনাট্য ধারা প্রথা মেনেই পৃথগান্ন হোলো।গন্ধর্ব ,নক্ষত্র, থিয়েটার কমিউন,শূদ্রক।ভাঙার কারণ?
প্রশ্নটা খুব সহজ,উত্তরও তো জানা।
সলিল সরকার
২.
শ্যামবাজার থেকে বাস ছেড়ে দুর্গাপুর পৌঁছতে যে সময় লাগবে ততক্ষণে কিছু ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক।যাত্রা শুরু করেছি সদ্য আসা অনেক আশার বামফ্রন্টের কালে কিন্তু তার আগের কালো দিনগুলোর কথা না বললে ত্বিষাম্পতির দিনলিপি অহেতুক অমিতাক্ষর।
সেই জরুরি অবস্থায় বাংলা নাটক রূপকের আড়ালে আশ্রয় নিয়ে টিকে থাকতে চাইছে।সেই সময় থিয়েটার কমিউন নীলকণ্ঠ সেনগুপ্তের নেতৃত্বে করছিল মোহিত চট্টোপাধ্যায় এর "স্বদেশী নক্সা" (যার রঙ্গনা মঞ্চের শো আধখানা দেখে বেরিয়ে এসেছিলাম)। এবার নীলকণ্ঠ নিজেই কলম ধরে লিখলেন "কিং কিং" এও রূপক তবে তুলনায় অনেক প্রত্যক্ষ।মিনার্ভা মঞ্চে দেখলাম আমার চেয়ে বছর পাঁচেকের বড়ো এক নাদুসনুদুস দাদা কী অসাধারণ অভিনয় করছে।সেই নাটকের মঞ্চসজ্জায় তরুণ কবি দেবাশিস মজুমদার।নাটক যে বেশি শো হোলো তা নয় তবে তখন কবির হাতের কলম লিখতে শুরু করেছে নাটক।মুন্সী প্রেমচন্দ্র এর "কফন" থেকে "দানসাগর"।মোহিত চট্টোপাধ্যায় এর পরে আর এক প্রতিশ্রুতিময় কবি "অভিমান" পত্রিকা সম্পাদনার পাশাপাশি বাংলা মঞ্চে জড়িয়ে পড়লেন।এর কিছুদিন পরে সেই কবি তার ভাই সুহৃদ সম্পাদক আর এক কবি গৌতম চৌধুরীকেও টেনে নেবে নবগঠিত নাট্যগোষ্ঠীতে সে কথায় পরে আসব।আপাতত ফেরা যাক দানসাগর প্রযোজনা মঞ্চে।শুধু দুই লুম্পেন প্রোলেতারিয়েত ঘিসু মেধো "নবান্ন" নাটকের পর নিরন্ন জীবনের ছেঁড়া চালচিত্রকে তুলে ধরল অসাধারণ নৈপুণ্যে।এর মধ্যে মনোজ মিত্রের "চাক ভাঙা মধু" প্রযোজনা করেছে থিয়েটার ওয়র্কশপ।সেখানে বিভাস চক্রবর্তী, মায়া ঘোষ আর অশোক মুখোপাধ্যায় দুরন্ত অভিনয় করলেও নাটকের খোলনলচে অনেকটাই পূর্বধারার এবং একাঙ্ক নাটকের কাঠামোয়।দানসাগর কিন্তু দেখাল সংলাপের বেড়াভাঙা চাঁছাছোলা এক নতুন রীতি যেখানে দুটি চরিত্র ঘিসু আর মেধো আমাদের শহর কলকাতার ঝোপড়পট্টিতেই থাকে যাদের জীবন যাপন বাসের জানালা থেকে দেখা।ঘিসুরূপী নীলকণ্ঠ আর মেধো দ্বিজেন অভিনয়ে সওয়াল জবাব।মঞ্চসজ্জায় আগুনের শিখা আর জোনাকির আলো হয়ত তেমন নিপুণ ছিল না কিন্তু সেদিকে চোখ যাবার আগেই চোখ টানত দুই আদুড় উদোম চরিত্র।দানসাগর বুঝিয়ে দিল বাংলা নাটক নতুন পথ খুঁজছে।আর বোঝাল বাংলা নাটক আর এক নাট্যকার পেতে চলেছে।কিন্তু সে সুখ বেশিদিন সইল না।বাংলা গ্রুপ থিয়েটার,নবনাট্য ধারা প্রথা মেনেই পৃথগান্ন হোলো।গন্ধর্ব ,নক্ষত্র, থিয়েটার কমিউন,শূদ্রক।ভাঙার কারণ?
প্রশ্নটা খুব সহজ,উত্তরও তো জানা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন