ত্বিষাম্পতির জীবন যাপন
সলিল সরকার
৮.
মে দিবস সারা দুনিয়ার শ্রমের জিহাদ।থিয়েটার সারা পৃথিবীর চেতনার স্পন্দন
সাতাত্তরে বাংলার পট পরিবর্তনের পরে আটাত্তরের মে দিবসে সারা বাংলা যে লাল পতাকায় ভরে যাবে এ তো জানা কথা।যেটা জানা ছিল না সেইদিন বীর পাড়ায় কিছু যুবক গেয়ে উঠবে-অব কোমর বন্ধ্ তৈয়ার হো।
বীরপাড়া থেকে বাড়ি ফিরতে মন চাইছে না কারো।সারাদিন সারারাত এখানেই কাটিয়ে ভোরবেলা থিয়েটার করতে থিয়েটার রোড গেলেই তো হয়!সবাই আজ একটু তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরবে যা বাকি আছে তা আজ কেনাকাটা করে নিতে হবে।সব টিকিট ডিস্ট্রিবিউশন হয়ে গেছে।সব কমপ্লিমেন্ট ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।সেক্রেটারি চন্দন কড়ায় গণ্ডায় হিসেব বুঝে নিচ্ছে।আর শহর জুড়ে খবর হয়ে গেছে কিছু দামাল কাল কিছু করবে।সেটাই সবাইকে আরও টেনশনে ফেলে দিয়েছে।এ কী আজকের চালাক চতুর নাট্যপ্রতিভা শোয়ের আগের দিন বুক ফূল্লে,কলার তুল্লে আকাদেমির ভাঁড়ের চা,দামি সিগারেট আর গলায় ব্যারিটোন খেলা করছে?গলার কথা উঠলো কি চন্দন চারবার কেশে নিল।সংগে থলে ভর্তি এলোপ্যাথ,হোমিওপ্যাথ আয়ুর্বেদ মায় লবঙ্গ,বচ,কাবাবচিনি জায়ফল জয়িত্রী ছিল কি না কে জানে! গলায় মোটা মাফলার ওই গরমেও।শুধু দ্বিজেনদার কোনও বিকার নেই।এর পেছনে লাগছে, ওর পিছনে লাগছে।
দোসরা মে।কলামন্দির বেসমেন্ট।আজ যা কলাকুঞ্জ।ছোট্ট পরিসর।সবাই হাজির।পৌঁছনোর পর শোনা গেল আজ সন্ধ্যায় উপরের প্রেক্ষাগৃহে থাকছেন রাজা অয়দিপাউস।প্রথম শো তায় মাথার উপর শম্ভু মিত্র স্টেথো থাকলে ধরা পড়ত হৃদমাঝারে কী হচ্ছিল সবার।
সকাল সকাল সেট রেডি করে একপ্রস্থ রিহার্সাল।আজ দ্বিজেনদা শুরু থেকেই সিরিয়াস আর চন্দনদা এক শিশি কাফ সিরাপ শেষ করে ফেলেছে।শোয়ের আগে গ্রিনরুমে দরজা বন্ধ করে একশ কাশি দুশো গলা খাঁকারি সে তো আছেই
এই মঞ্চে ঢোকার আগে ফাইনাল চাপা গলা খাঁকারি নিয়ে গালিলেওর জীবনে চন্দনদা আর শম্ভুদার যা চলত তা পরে বলব।আপাতত থার্ডবেল পড়ে গেছে।
সলিল সরকার
৮.
মে দিবস সারা দুনিয়ার শ্রমের জিহাদ।থিয়েটার সারা পৃথিবীর চেতনার স্পন্দন
সাতাত্তরে বাংলার পট পরিবর্তনের পরে আটাত্তরের মে দিবসে সারা বাংলা যে লাল পতাকায় ভরে যাবে এ তো জানা কথা।যেটা জানা ছিল না সেইদিন বীর পাড়ায় কিছু যুবক গেয়ে উঠবে-অব কোমর বন্ধ্ তৈয়ার হো।
বীরপাড়া থেকে বাড়ি ফিরতে মন চাইছে না কারো।সারাদিন সারারাত এখানেই কাটিয়ে ভোরবেলা থিয়েটার করতে থিয়েটার রোড গেলেই তো হয়!সবাই আজ একটু তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরবে যা বাকি আছে তা আজ কেনাকাটা করে নিতে হবে।সব টিকিট ডিস্ট্রিবিউশন হয়ে গেছে।সব কমপ্লিমেন্ট ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।সেক্রেটারি চন্দন কড়ায় গণ্ডায় হিসেব বুঝে নিচ্ছে।আর শহর জুড়ে খবর হয়ে গেছে কিছু দামাল কাল কিছু করবে।সেটাই সবাইকে আরও টেনশনে ফেলে দিয়েছে।এ কী আজকের চালাক চতুর নাট্যপ্রতিভা শোয়ের আগের দিন বুক ফূল্লে,কলার তুল্লে আকাদেমির ভাঁড়ের চা,দামি সিগারেট আর গলায় ব্যারিটোন খেলা করছে?গলার কথা উঠলো কি চন্দন চারবার কেশে নিল।সংগে থলে ভর্তি এলোপ্যাথ,হোমিওপ্যাথ আয়ুর্বেদ মায় লবঙ্গ,বচ,কাবাবচিনি জায়ফল জয়িত্রী ছিল কি না কে জানে! গলায় মোটা মাফলার ওই গরমেও।শুধু দ্বিজেনদার কোনও বিকার নেই।এর পেছনে লাগছে, ওর পিছনে লাগছে।
দোসরা মে।কলামন্দির বেসমেন্ট।আজ যা কলাকুঞ্জ।ছোট্ট পরিসর।সবাই হাজির।পৌঁছনোর পর শোনা গেল আজ সন্ধ্যায় উপরের প্রেক্ষাগৃহে থাকছেন রাজা অয়দিপাউস।প্রথম শো তায় মাথার উপর শম্ভু মিত্র স্টেথো থাকলে ধরা পড়ত হৃদমাঝারে কী হচ্ছিল সবার।
সকাল সকাল সেট রেডি করে একপ্রস্থ রিহার্সাল।আজ দ্বিজেনদা শুরু থেকেই সিরিয়াস আর চন্দনদা এক শিশি কাফ সিরাপ শেষ করে ফেলেছে।শোয়ের আগে গ্রিনরুমে দরজা বন্ধ করে একশ কাশি দুশো গলা খাঁকারি সে তো আছেই
এই মঞ্চে ঢোকার আগে ফাইনাল চাপা গলা খাঁকারি নিয়ে গালিলেওর জীবনে চন্দনদা আর শম্ভুদার যা চলত তা পরে বলব।আপাতত থার্ডবেল পড়ে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন