ত্বিষাম্পতির জীবন যাপন
সলিল সরকার
১০
অমিতাক্ষরের প্রথম শোয়ে শূদ্রকের শুভার্থী সদস্যরা তো এসেছিলেন বটেই তার পাশাপাশি বাংলা থিয়েটারের নিয়মিত দর্শক যারা তারাও এসেছিলেন।আর এসেছিলেন নাট্যকার মোহিত চট্ট্যোপাধ্যায়, পরিচালক বিভাস চক্রবর্তী, নীলকণ্ঠ সেনগুপ্ত এবং সম্ভবত সুরকার ও নাট্যসমালোচক দেবাশিস দাশগুপ্ত।দেবাশিসদা এই নাটকের আলোচনা করেছিলেন "দেশ" সাপ্তাহিক পত্রিকায় বেশ কয়েকবার নাটকটি দেখবার পরে।নাটকের শেষে ত্বিষাম্পতির উজ্জীবনের কালে নেপথ্যে শ্রীপতিদা দেব্ব্রত বিশ্বাসের গাওয়া রবীন্দ্রনাথের "তোমার কাছে এ বর মাগি মরণ হতে যেন জাগি গানের সুরে" গানটি আলতো করে ছেড়ে দিত।আমাদের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত কিন্তু দেবাশিসদার ভালো লাগেনি।লিখলেন গানটি অধিকন্তু।তারপর থেকে আর ওটা বাজানো হোতো না।
মোহিতদা গ্রিন্রুমে এসে স্বভাবসিদ্ধ ভাষায় উৎসাহ দিতে কার্পণ্য করলেন না।আহা এই মানুষজন বাংলা নাট্য থেকে অব্লুপ্ত হয়ে গেলেন! বিভাসদা আবার চন্দনদাকে খুব ভালোবাসতেন।পাড়ার ছেলে তো।দাড়িটাও এক।সাইজটাও।তবে একজন পরিচালক-অভিনেতা আর একজন শুধুই অভিনেতা।বিভাসদা অভিনয়ের কিছু দোষ ত্রুটির কথা বললেন।আর নীলকণ্ঠদা কাপ্তানি ভংগিমায় "ভালো ভালো" বলেই বেরিয়ে গেলেন।শূদ্রক তার বিজয় পতাকা উড়িয়ে দিল বাংলার নাট্য আকাশে।সারা শহরে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগল না।রাসবিহারীর ঠেকে, শ্যাম বাজার পাঁচমাথার মোড়ে, কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের সিগারেটের ধোঁয়ায় এ খবর ছড়াতে থাকল।একদিন যেভাবে উঠে এসেছিল শ্যামল ঘোষ,নক্ষত্র ও মোহিতদার নাম।তবে নাট্যকার হিসাবে দেবাশিস আর অভিনেতা দ্বিজেন এর নাম উঠে এলেও শূদ্রক ও তার সম্মিলিত প্রয়াস এই কথাটি বহুদিন চালু ছিল।তখনও ব্যক্তি মোহ বিকাশের আখড়া হয়ে ওঠেনি।বস্তুত "অমিতাক্ষর" ও শূদ্রক ছিল এক দল তরতাজা প্রাণের শিল্প প্রয়াস।
আচ্ছা শূদ্রক নাম তো সংস্কৃত নাট্যকার এর নাম।এই নামটি তারা বেছে নিল কেন?নামটিই বা রাখল কে?রাখল এক কবি গৌতম চৌধুরি।যে কবি হয়ে এর আগেই নান্দীকারের "ফুটবল" নাটকের বেশ কিছু গান লিখে ফেলেছে আর এদের সংগেও যোগ দিয়েছে নাট্য শিল্পকে ভালোবেসে।শূদ্রক পত্রিকা প্রকাশেও এর অবদান কম নয়।সে কাজে আসব।
শূদ্রক এই নামের লেটারিং করে দিয়েছিলেন শিল্পী সুবোধ দাশগুপ্ত।আজকের অভিনেত্রী সুরঞ্জনার বাবা।অমিতাক্ষর নাটকের লেটারিং করেছিলেন নাট্যকার নিজেই।পোস্টার ভাবনা ছিল নাট্যকারের।বাস্তবায়িত করেছিল সলিল বাঙুরের পি ২২২ এ রাত জেগে।তখন হাতে
লেখা আর আঁকা পোস্টারের আলাদা কদর ছিল।নাট্যকলার ওটাও ছিল এক শাখা।আজ আর কী আছে?
(চলবে)
সলিল সরকার
১০
অমিতাক্ষরের প্রথম শোয়ে শূদ্রকের শুভার্থী সদস্যরা তো এসেছিলেন বটেই তার পাশাপাশি বাংলা থিয়েটারের নিয়মিত দর্শক যারা তারাও এসেছিলেন।আর এসেছিলেন নাট্যকার মোহিত চট্ট্যোপাধ্যায়, পরিচালক বিভাস চক্রবর্তী, নীলকণ্ঠ সেনগুপ্ত এবং সম্ভবত সুরকার ও নাট্যসমালোচক দেবাশিস দাশগুপ্ত।দেবাশিসদা এই নাটকের আলোচনা করেছিলেন "দেশ" সাপ্তাহিক পত্রিকায় বেশ কয়েকবার নাটকটি দেখবার পরে।নাটকের শেষে ত্বিষাম্পতির উজ্জীবনের কালে নেপথ্যে শ্রীপতিদা দেব্ব্রত বিশ্বাসের গাওয়া রবীন্দ্রনাথের "তোমার কাছে এ বর মাগি মরণ হতে যেন জাগি গানের সুরে" গানটি আলতো করে ছেড়ে দিত।আমাদের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত কিন্তু দেবাশিসদার ভালো লাগেনি।লিখলেন গানটি অধিকন্তু।তারপর থেকে আর ওটা বাজানো হোতো না।
মোহিতদা গ্রিন্রুমে এসে স্বভাবসিদ্ধ ভাষায় উৎসাহ দিতে কার্পণ্য করলেন না।আহা এই মানুষজন বাংলা নাট্য থেকে অব্লুপ্ত হয়ে গেলেন! বিভাসদা আবার চন্দনদাকে খুব ভালোবাসতেন।পাড়ার ছেলে তো।দাড়িটাও এক।সাইজটাও।তবে একজন পরিচালক-অভিনেতা আর একজন শুধুই অভিনেতা।বিভাসদা অভিনয়ের কিছু দোষ ত্রুটির কথা বললেন।আর নীলকণ্ঠদা কাপ্তানি ভংগিমায় "ভালো ভালো" বলেই বেরিয়ে গেলেন।শূদ্রক তার বিজয় পতাকা উড়িয়ে দিল বাংলার নাট্য আকাশে।সারা শহরে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগল না।রাসবিহারীর ঠেকে, শ্যাম বাজার পাঁচমাথার মোড়ে, কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের সিগারেটের ধোঁয়ায় এ খবর ছড়াতে থাকল।একদিন যেভাবে উঠে এসেছিল শ্যামল ঘোষ,নক্ষত্র ও মোহিতদার নাম।তবে নাট্যকার হিসাবে দেবাশিস আর অভিনেতা দ্বিজেন এর নাম উঠে এলেও শূদ্রক ও তার সম্মিলিত প্রয়াস এই কথাটি বহুদিন চালু ছিল।তখনও ব্যক্তি মোহ বিকাশের আখড়া হয়ে ওঠেনি।বস্তুত "অমিতাক্ষর" ও শূদ্রক ছিল এক দল তরতাজা প্রাণের শিল্প প্রয়াস।
আচ্ছা শূদ্রক নাম তো সংস্কৃত নাট্যকার এর নাম।এই নামটি তারা বেছে নিল কেন?নামটিই বা রাখল কে?রাখল এক কবি গৌতম চৌধুরি।যে কবি হয়ে এর আগেই নান্দীকারের "ফুটবল" নাটকের বেশ কিছু গান লিখে ফেলেছে আর এদের সংগেও যোগ দিয়েছে নাট্য শিল্পকে ভালোবেসে।শূদ্রক পত্রিকা প্রকাশেও এর অবদান কম নয়।সে কাজে আসব।
শূদ্রক এই নামের লেটারিং করে দিয়েছিলেন শিল্পী সুবোধ দাশগুপ্ত।আজকের অভিনেত্রী সুরঞ্জনার বাবা।অমিতাক্ষর নাটকের লেটারিং করেছিলেন নাট্যকার নিজেই।পোস্টার ভাবনা ছিল নাট্যকারের।বাস্তবায়িত করেছিল সলিল বাঙুরের পি ২২২ এ রাত জেগে।তখন হাতে
লেখা আর আঁকা পোস্টারের আলাদা কদর ছিল।নাট্যকলার ওটাও ছিল এক শাখা।আজ আর কী আছে?
(চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন