ত্বিষাম্পতির জীবন যাপন
সলিল সরকার
৫.
দ্বিজেনদার কথা লিখতে বসে এতো সাড়া পাব ভাবিনি।বিশেষ করে এই প্রজন্ম যেভাবে সাড়া দিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে "দেহপট সনে নট সকলি হারায়" এটা আংশিক সত্য,পুরো নয়। যদিও এটা গিরিশ চন্দ্র ঘোষের কথা কিন্তু শম্ভুদা এই কথাটাই অন্যভাবে বারবার বলতেন যা আমার নিজের কানে শোনা।শম্ভুদা আর একটা কথাও বলতেন যে অভিনেতাকে সৎ হতে হবে নিজের কাছে, শিল্পের কাছে।রেগে গেলে বলতেন তুমি কী নেশা করেছ? কিম্বা তুমি কী কাঁঠাল পাতা চিবোচ্ছিলে?কথাটা তুললাম এই কারণে দ্বিজেন সহ শূদ্রক শম্ভু মিত্রকেই গুরু মানত।কণ্ঠ চর্চা, উচ্চারণ ভঙ্গি, একটু নাসিক ও বিনয়ী উন্নাসিক এবং স্তানিশ্লাভস্কি পদ্ধতিতে কাজের দিকেই ঝোঁক ছিল।যদিও আমাদের দলের ঘরে এসে শেষ দিকে বলছেন "বৃক্ষের উচ্চারণ বৃ ক্ ক্ষ করতেই হবে এমনটি নয়।আসল হলো উচ্চারণে বস্তুর রূপটি ফুটে উঠছে কী না!" এসব কথা যখন বলছেন তখন দ্বিজেনদা শূদ্রক থেকে বিতাড়িত।এ কথায় পরে আসব।আপাতত দ্বিজেনদার ম্যানারিজম আর অভিনয় ধরন নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করি।দ্বিজেনদা স্পষ্টবাদী ছিল কি না জানি না তবে উচ্চারণ ছিল স্পষ্ট।উচ্চতা সাধারণ কিন্তু চলায় একটা দুলুনি থাকত।সিগারেট খাওয়ার একটা স্টাইল ছিল সে মার্লবোরো হোক কি ফিল্টার উইলস্।ত্বিষাম্পতির চরিত্রে কিন্তু নেশা ছিল না।সে ছিল চন্দ্রকান্ত চরিত্রে চন্দনদার।এমন তারিয়ে বিড়ি ধরাত যেন জমিয়ে তামাক সেবন করছে।নাটকের শুরুতে দ্বিজেন চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে গুটিয়ে রাখত।যতই হোক সদ্য চাকরি খোওয়ানো ছাপোষা মধ্যবিত্ত ঘরে বসে বাঁধাইয়ের কাজ করে বাধ্য হয়ে।সেই মানুষ যখন মিথ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামী তখন মনোযোগী আবার মিথ্যাটাকে সত্য করে তোলার আপ্রাণ প্রয়াস যার পরিণতি মিথ্যের খোলস ছেড়ে সত্যি হয়ে ওঠা।"আর কতো ভয় পাবো বলতে পারো?একবার ইচ্ছে করে না সাহস দেখাই?" অতি সাধারণ ক্লিশে সংলাপ কিন্তু সেই সময়ে ছিল অমোঘ গঠনে ও উচ্চারণে।শেষে এসে তাই দ্বিজেন স্বাভাবিক অভিনয় ছেড়ে সামান্য উচ্চকিত হয়ে উঠছে যেন পাতি মধ্যবিত্ত থেকে প্রোলেতারিয়েত। নাটকের শুরুতে সংলাপ ছিল
-বাব্বা কতো খরচ করেছে?
- খরচ?হুঁঃ
শুরুর ত্বিষাম্পতি বাঁধাইয়ের সরঞ্জাম নিয়ে ডাউন স্টেজে বসে বসেই অভিনয় করছে।সেই ভীরু মধ্যবিত্ত শেষে এসেও বাঁধাইয়ের কাজ করছে তবে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে।এর সংগে অভিনয়ে সংগত করছে চন্দন সেনগুপ্ত।এমন কৌতুক প্রবণ খলনায়ক না নবান্নের টাউট ছাড়া আর কোথাও ছিল না।এই অভিনেতা একবার ছাড়া কোনদিনই তার যোগ্য মর্যাদা পায়নি।যা দিয়েছিলেন এক জার্মান পরিচালক বাঙালি নয়।তবে শূদ্রক নিয়ে বলতে গেলে চন্দনদা এর কথা না বললে বড়ো বেইমানি করা হবে।
সলিল সরকার
৫.
দ্বিজেনদার কথা লিখতে বসে এতো সাড়া পাব ভাবিনি।বিশেষ করে এই প্রজন্ম যেভাবে সাড়া দিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে "দেহপট সনে নট সকলি হারায়" এটা আংশিক সত্য,পুরো নয়। যদিও এটা গিরিশ চন্দ্র ঘোষের কথা কিন্তু শম্ভুদা এই কথাটাই অন্যভাবে বারবার বলতেন যা আমার নিজের কানে শোনা।শম্ভুদা আর একটা কথাও বলতেন যে অভিনেতাকে সৎ হতে হবে নিজের কাছে, শিল্পের কাছে।রেগে গেলে বলতেন তুমি কী নেশা করেছ? কিম্বা তুমি কী কাঁঠাল পাতা চিবোচ্ছিলে?কথাটা তুললাম এই কারণে দ্বিজেন সহ শূদ্রক শম্ভু মিত্রকেই গুরু মানত।কণ্ঠ চর্চা, উচ্চারণ ভঙ্গি, একটু নাসিক ও বিনয়ী উন্নাসিক এবং স্তানিশ্লাভস্কি পদ্ধতিতে কাজের দিকেই ঝোঁক ছিল।যদিও আমাদের দলের ঘরে এসে শেষ দিকে বলছেন "বৃক্ষের উচ্চারণ বৃ ক্ ক্ষ করতেই হবে এমনটি নয়।আসল হলো উচ্চারণে বস্তুর রূপটি ফুটে উঠছে কী না!" এসব কথা যখন বলছেন তখন দ্বিজেনদা শূদ্রক থেকে বিতাড়িত।এ কথায় পরে আসব।আপাতত দ্বিজেনদার ম্যানারিজম আর অভিনয় ধরন নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করি।দ্বিজেনদা স্পষ্টবাদী ছিল কি না জানি না তবে উচ্চারণ ছিল স্পষ্ট।উচ্চতা সাধারণ কিন্তু চলায় একটা দুলুনি থাকত।সিগারেট খাওয়ার একটা স্টাইল ছিল সে মার্লবোরো হোক কি ফিল্টার উইলস্।ত্বিষাম্পতির চরিত্রে কিন্তু নেশা ছিল না।সে ছিল চন্দ্রকান্ত চরিত্রে চন্দনদার।এমন তারিয়ে বিড়ি ধরাত যেন জমিয়ে তামাক সেবন করছে।নাটকের শুরুতে দ্বিজেন চরিত্র অনুযায়ী নিজেকে গুটিয়ে রাখত।যতই হোক সদ্য চাকরি খোওয়ানো ছাপোষা মধ্যবিত্ত ঘরে বসে বাঁধাইয়ের কাজ করে বাধ্য হয়ে।সেই মানুষ যখন মিথ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামী তখন মনোযোগী আবার মিথ্যাটাকে সত্য করে তোলার আপ্রাণ প্রয়াস যার পরিণতি মিথ্যের খোলস ছেড়ে সত্যি হয়ে ওঠা।"আর কতো ভয় পাবো বলতে পারো?একবার ইচ্ছে করে না সাহস দেখাই?" অতি সাধারণ ক্লিশে সংলাপ কিন্তু সেই সময়ে ছিল অমোঘ গঠনে ও উচ্চারণে।শেষে এসে তাই দ্বিজেন স্বাভাবিক অভিনয় ছেড়ে সামান্য উচ্চকিত হয়ে উঠছে যেন পাতি মধ্যবিত্ত থেকে প্রোলেতারিয়েত। নাটকের শুরুতে সংলাপ ছিল
-বাব্বা কতো খরচ করেছে?
- খরচ?হুঁঃ
শুরুর ত্বিষাম্পতি বাঁধাইয়ের সরঞ্জাম নিয়ে ডাউন স্টেজে বসে বসেই অভিনয় করছে।সেই ভীরু মধ্যবিত্ত শেষে এসেও বাঁধাইয়ের কাজ করছে তবে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে।এর সংগে অভিনয়ে সংগত করছে চন্দন সেনগুপ্ত।এমন কৌতুক প্রবণ খলনায়ক না নবান্নের টাউট ছাড়া আর কোথাও ছিল না।এই অভিনেতা একবার ছাড়া কোনদিনই তার যোগ্য মর্যাদা পায়নি।যা দিয়েছিলেন এক জার্মান পরিচালক বাঙালি নয়।তবে শূদ্রক নিয়ে বলতে গেলে চন্দনদা এর কথা না বললে বড়ো বেইমানি করা হবে।
Shyamali Banerjee চলবে তো নাকি
উত্তরমুছুনLike · Reply · 1 · 10 October at 22:51
Manage
Salil Sarkar
Salil Sarkar সবে তো শুরু।
Like · Reply · 10 October at 22:53
Manage
View more replies
Partha Sarathi Chandra
Partha Sarathi Chandra যা থেমে গেল তো!
Like · Reply · 10 October at 22:31
Manage
Salil Sarkar
Salil Sarkar পার্থ থামবে না।জোর করে কেউ থামিয়ে দিতে চাইলেও না।
Like · Reply · 1 · 10 October at 22:52
Manage
Subhendu Banerjee
Subhendu Banerjee আমরা অপেক্ষায় থাকি ...
Like · Reply · 1 · 10 October at 23:03
Manage
Ananya Mukherjee
Ananya Mukherjee amar khub valo lagto onar avinoy
Like · Reply · 1 · 10 October at 23:09
Manage
Tapabrata Chatterjee
Tapabrata Chatterjee Valo dada
Like · Reply · 1 · 10 October at 23:06
Manage
Prabuddha Mitra
Prabuddha Mitra কথা অমৃত সমান...
Like · Reply · 1 · 11 October at 00:24
Manage
Sudip Bhattacharya
Sudip Bhattacharya আরো জানতে ইচ্ছে করছে।
Like · Reply · 12 October at 00:46
Manage
Sarbari Chakraborty
Sarbari Chakraborty Chaluk .
Like · Reply · 1 · 10 October at 23:36
Manage
Paramita Roy Chowdhury
Paramita Roy Chowdhury · Friends with Shyamali Banerjee
Missing him n his sabolil throw of words
Like · Reply · 1 · 11 October at 10:48
Manage
Paramita Roy Chowdhury
Paramita Roy Chowdhury · Friends with Shyamali Banerjee
Like · Reply · 11 October at 10:46