গুটিপোকার বিনি সুতোর
মালা
(এই লেখাটি মূলতঃ
অধ্যাপিকা পিয়ালী পালিত, চিত্রগ্রাহক সৌগতুলিশ ও গায়িকা মৌ গাংগুলির জন্যে)
আমার শৈশবের বাগানে কদম
গাছ ছিল গড়খাইয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে।‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’ কি না মনে নেই।‘বাদল
দিনের প্রথম কদম ফুল’ কোনও কিশোরীকে দিয়েছিলাম কিনা তাও মনে করতে পারছি না তবে
মস্ত গাছ এই বর্ষায় ফুলে ভরে যেত।সুবাস ছড়াত।মৌমাছিও জুটত।আমরাও জুটতাম সেই সুবাসে
নয় ফুল কুড়োতে। কোনও কিশোরীর হাতে তুলে দিতে নয়।ওগুলো ছিল আমাদের বিনি পয়সায়
কুড়িয়ে পাওয়া ক্রিকেট বল।
একটা বিশাল নিম গাছ ছিল
গড়খাইয়ের পূর্ব পাড়ে।আমার দিদিমা সারা বছর নিম পাতা ভাজা খেতেন।সেই নিম গাছেও ফুল
আসত।শুধু সেই গাছে কেন বড়ো রাস্তার ওপরে বেশ কয়েকটা বড়ো বড়ো নিম গাছ ছিল।গরম কালে
কচি পাতায় ভরে যেত সে গাছ আর তার পরে গাছ ভরে আসত সাদা নিম ফুলে।সেই সব গাছে
মৌমাছি যত দেখেছি তার চেয়েও বেশি দেখেছি নানা জাতের পাখি।যখন ফুল থেকে ফল হোতো আর
সেগুলো পেকে সবুজ থেকে হলুদ হয়ে উঠত তখন সেই পাকা নিম ফল খেতে কতো পাখি যে
আসত।গাছের তলা পাখিদের খেয়ে ফেলে দেওয়া বীজে ভরে যেত।বর্ষার পর সেই বীজগুলোই গাছ
হয়ে যেত।বেশ মনে আছে মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ির নিম গাছটার ডালপালা কেটে দেওয়া
হোতো।সেই ডালপালা শুকনো হলে আমাদের বাগানের আর পাঁচটা শুকনো ডালপালার মতো বাড়ির
কাঠের উনুনে জ্বালানির কাজে লাগানো যেত না।ওগুলো ব্রাহ্মণদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা
নিয়ে যেত তাদের বাড়ির জন্যে।
আমাদের বাড়ির বাগান ছিল
একটা ছোটোখাটো ভেষজ উদ্যান।উত্তর দিকে খিড়কি পুকুরের তিন দিক ঘিরে ছিল বাঁশের
বন।সেখানে ছিপ তৈরির কাঁটা বাঁশ থেকে কুলো,চুপড়ি,ঝুড়ি,খালুই,চাঙারি,ধুচুনি তৈরির
তলতা বাঁশ যেমন ছিল আবার বেড়া দেবার কি খড়ের চালের কাঠামো তৈরির বাঁশও ছিল।সেই
বাঁশের ঝাড়েও ক্বচিৎ কখনও ফুল আসতে দেখেছি তবে মড়ক আসেনি।বাঁশের বনে লুকিয়ে থাকত
মস্ত ধেড়ে ইঁদুর,নেউল আর গোসাপ।তার মধ্যে কিছু কিছু কালকেতু-ফুল্লরা উপাখ্যানের
স্বর্ণগোধিকাও ছিল।আমাদের বসত বাড়িতে তাই কোন দিন বিষধর সাপ থাকত না।বিশাল বিশাল
ঢ্যামনা(দাঁড়াস)সাপ অবশ্য ছিল।তারা সময় সুযোগে আমাদের ভয় দেখাতেও ছাড়ত না।আর ছিল
শেয়াল- ভুড়ো শেয়াল আর খ্যাঁকশেয়াল।তারা প্রহরে প্রহরে ‘হুক্কা হুয়া’ বলে ডাকত।আমরা
ওদের ডাকের উত্তরে ‘কেয়া হুয়া’? বলে সাড়া দিতাম।ওরাও সুযোগ পেলেই সদ্য চোখ না ফোটা
কুকুর ছানা আর হাস-মুরগির ঘরে হানা দিয়ে তাদের তুলে নিয়ে যেত।একবার পোষার জন্যে
বাদামি রঙের দুটো বুনো খরগোস এনে দিয়েছিলেন বড় জামাইবাবু শালের বন থেকে।তারা বুনো
বলেই তাদের ঘরের মধ্যে না রেখে বাগানে সুড়ঙ্গ তৈরি করে ছেড়ে দিয়েছিলাম।সকালবেলা
তারা সারা বাগান ঘুরে বেড়াত আর কচি কচি ঘাস খেত।রাতের বেলা ওই সুড়ঙ্গে ঘুমোত।বেশ
পোষ মেনে গিয়েছিল তারা।একদিন ধূর্ত শেয়াল দুটোকেই তুলে নিয়ে গেল।তার পর আর কোনও
খরগোস পুষিনি।তবে পোষার মতো প্রাণীর অভাব ছিল না।সে কথায় পরে আসছি।এখন বাগানে ফিরে
যাই।
বাঁশ বনের মধ্যেই ছিল
বটগাছের মতো বিশাল বিশাল খিরিশ(শিরীষ)গাছ।তাদের ফুলও গন্ধে মাতাত।লম্বা তেঁতুলের
মতো পাকা ফলগুলো ছাগল আর গোরু আরাম করে চিবোত।বাবলা গাছও ছিল।তার ফলও ছাগল গোরু
খেত।আর ছিল খেজুর গাছ।দেশি খেজুর।আমার কলকাতার বারান্দায় নিজের হাতে তৈরি আরবের
খেজুর গাছ নয়।পশু-পাখির খেয়ে ফেলে দেওয়া বীজ থেকে আপনা-আপনি গজিয়ে ওঠা। খেজুরগুলো
পেকে গাছের তলায় পড়লে আমরা যেমন খেতাম শেয়াল গোরুও খেত।আর ছিল তেঁতুল গাছ।তেঁতুলের
ফুলেরও বেশ সুন্দর গন্ধ হয়।তাল-নারকেল ফুলেরও গন্ধে একটা মাদকতা আছে।লেবুর ফুলের
গন্ধের মতো না হলেও। বাড়ির পিছনে যে ঝাঁকড়া মাথার কারি পাতার গাছ ছিল(আমরা ওইকালেই
উপমা খেতাম কারিপাতা দিয়ে।জ্যাঠাবাবু লাগিয়েছিলেন)তাতেও ফুল আসত।তার পাশেই ছিল
মস্ত কাগজি লেবুর গাছ।খাওয়ার পরেও কতো লেবু যে পেকে পড়ে নষ্ট হোতো।তেঁতুল গাছের
পাশেই ছিল হোর্তকি(হরিতকী)গাছ।আশ্বিনে সেই গাছে ফুল আসত।পুজোর সময় হাল্কা সবুজ ফল
ধরত।শীতকালে ওই ফল পেকে মাটিতে পড়লে আমরা এম্নিই কুড়িয়ে খেতাম আর মা-ঠাকুমা ওর বীজ
যাঁতি দিয়ে কেটে হাতে সুতোর ডোর দিয়ে পরিয়ে দিত।তাতে নাকি বসন্ত হবে না।আমরা খুব
ছোটোবেলায় ‘জল বসন্তের’ রোগী দেখেছি।বলা উচিত শুনেছি।কেন না তাদের ঘরের বাইরে
আসতেই দেওয়া হোত না। পরে মুখ ভরা দাগ নিয়ে তারা যখন বেরোত আমরা ভয় পেতাম।এর পর
সারা বিশ্ব থেকে জল বসন্ত উধাও করে দেওয়া হয়েছে(ল্যাবরেটরি ছাড়া)ঠিক যেমন কালা
জ্বর আর ম্যালেরিয়া উধাও করে দেওয়া হয়েছিল ডিডিটি স্প্রে করে।
আমাদের বাড়িতে জ্যাঠামশায়
ডাক্তার হলেও আমরা উঠতে বসতে মেডিসিন নিতাম না।সম্বচ্ছর নানান ভেষজ ওষুধ আমাদের
উপর প্রয়োগ করা হোতো।ভাদ্রকালে পিত্ত বিনাশের জন্যে আমাদের শুকনো পাটপাতার জল আর
কাঁচা হলুদ বাটা খেতে হোতো। একটু শীত পড়লেই রবিবার খালি পেটে চিরতার জল।আশ্বিনে
ভাতের পাতে বাড়ির বাগানের ওল সেদ্ধ আর কাঁচা তেঁতুলের টক খেতে হোতো।আখের গুড় আর
ভেজা ছোলা সেও খেতে হোতো।নিম পাতা বাটাও খেতে হোতো একদিন।তবে তার সংগে আমরা গজড়
খেতাম।‘গজড়’ হোলো তালের ফেলে রাখা আঁটির ভেতরের সাদা ফোপরা।শাঁস নয় কিন্তু।নারকেল
যখন গাছ হবার অবস্থায় আসে তখনও এমন ফোপরা হয়।ওটা খেতে তেমন মিষ্টি লাগে না যতটা
মিষ্টি তালের ফোপরা।আর ঝড়ে পড়ে যাওয়া নারকেল গাছের মাথাটা চিরে যে শাঁস বেরোত সেটা
এতোই মিষ্টি যে একটু খেলেই গা গুলিয়ে যেত।পাকা বহেড়া আর ডুমুরও বেশ মিষ্টি।পাকা
বহেড়া ফলের আঠা দিয়ে আমরা কাগজ সাঁটতাম।আর ছিল যজ্ঞডম্বুরের গাছ।ডুমুরগুলো পাকলে
লাল হয়ে যেত।গোয়াল আর ধানের গোলার কাছেই ছিল শতাব্দ প্রাচীণ আমলকী গাছ।তার শরীরটা
ছিল ফাঁপা।তার ভেতরে ছিল পাহাড়ি মৌমাছির চাক। আমরা কোনদিন তার মধু খাইনি।বলা ভালো
পাইনি।কেন না ওটা গাছের অনেক গভীরে ছিল।কিন্তু মধুর জন্যেই হয়তো গাছ ভরা আমলকী
অমৃতফল হয়ে যেত। মহালয়ার ভোরে আমরা কুষি আমলকী কুড়োতাম।আর ছিল করঞ্জ গাছ।তার ফল
ছিল তেতো।ছিল অর্জুন গাছ।তেজপাতা গাছ ছিল।দারুচিনি গাছও ছিল।জ্যাঠাবাবু ওটা
লাগিয়েছিলেন কিন্তু পরে গাছটা বড়ো হোতে দেখা গেল গাছটা কেমন করে যেন কাবাব চিনি
গাছ হয়ে গেছে।ঠিক যেমন ছোটো এলাচের গাছে কুড়ি আসত কিন্তু এলাচ পাইনি কোন দিন।ছোট
এলাচের গাছ অনেকটা দোলনচাঁপা গাছের মতো।গুলঞ্চ গাছও ছিল।তারাও ফুলে ভরিয়ে রাখত
গাছ।জবা ফুলের গাছে যখন ফুল আসত আমরা সেই ফুলের ভেতরের মধু চুষে খেতাম।
আনারস গাছ ছিল যেখানে
সেখানে।বলা ভালো সারা বাড়ি জুড়ে আনারসের ঝোপ ছিল।যেমন চুপড়ি আলুর লতা আমগাছ জড়িয়ে
উঠত আর মাটির তলায় হোতো মস্ত আলু।ঘৃতকুমারী গাছ ছিল বাগানের এক কোণে। বাগানের কোণ
গুলোয় ছিল কলার ঝাড়।কাঁঠালি,চাঁপা,কাঁচকলা,মর্তমান আর বিচিকলা।ওগুলো এম্নিই
হোতো।বাবা পরে লাগিয়েছিল সিঙ্গা্পুরী কলার গাছ।কী মিষ্টি ছিল সেই গাছের কলা।একবার
একটা কলা গাছের কাঁদি হোলো গাছটার শরীরের ভেতরে।বেশ মনে আছে আমরা অপারেশন করে
কাঁদি বের করেছিলাম।ওই অঞ্চলে আমাদের মতো হুজুগে বাড়ি আর একটাও ছিল না।জ্যাঠাবাবু
একবার আমাদের নিয়ে খালের জলে পানিফলের চাষ শুরু করলেন।দুদিন পরে সে সখ মিটে
গেল।শুরু হোলো নতুন হুজুগ মৌমাছির চাষ।
আমলকী গাছের চাকের মধু তো
আমরা পেতাম না কিন্তু তবুও টাটকা মধু খেতাম। বাগানের লাল হলুদ রঙ্গন গাছের ঝোপে
যেমন বুলবুলি আর টুনটুনি বাসা বাঁধত। আমাদের একটুও ভয় করত না।মাছিমৌমাছিও চাক
বাঁধত।মধু জমলে আমরা সেই চাকে পাটকাঠি ঢুকিয়ে নিচে একটা থালা কি বাটি পেতে
দিতাম।টপ টপ করে তাতে টাটকা খাঁটি মধু পড়ত।আর আমাদের নিজের হাতে চাষ করা মৌমাছির
ব্যাপারটা ছিল আরও মজার।
সরকারি প্রকল্প থেকে
দু-দুটো কাঠের ‘বি-বক্স’ আনা হোলো।তাদের দুটি তলা। নীচেরটায় মৌমাছির সংসার আর
উপরের তলায় তারা নিজেরাই মধু রাখার ধপধপে সাদা চাক বানাত।প্রতি রবিবার আমরা সেই
বাক্স খুলে দেখতাম মধু জমলো কি না। তার জন্যে দুহাত দিয়ে মৌমাছিদের নিয়ে উড়িয়ে
দিতাম।ওরা সারা আকাশ ভরে উড়ে বেড়াত তখন।শুধু খেয়াল রাখতে হোতো রাণী মৌমাছি যেন উড়ে
না যায়। তাহলেই গল্প শেষ।রাণীকে ঘিরেই তো ওদের সংসার।বাকি মৌমাছিদের নিয়ে কোনও
চিন্তা ছিল না।ওরা একটুও হুল ফোটাত না।ফোটালেও আমরা তেমন গা করতাম না। এর ফলে
শান্তিনিকেতনে একদিন হনুমানের বাঁদরামিতে শ-খানেক মৌমাছি ছেঁকে ধরায় রাত্রে জ্বর
এসেছিল শুধু।একবার কলকাতার বাসায় ভীমরুলের কামড়ে পিঠে ঘা হয়েছিল।যদিও সেটা আমাদের
দেশের বাড়ির ভীমরুলের মতো মারাত্মক ছিল না। জবার ডালে চাক বাঁধা বোলতার মতোও
নয়।ওদের ডিম দিয়ে আমরা মাছ ধরতাম। পিপড়ের ডিম দিয়েও মাছ ধরতাম।ওরা বাসা বাঁধত আম
গাছে।ঠিক যেমন উই বাসা বাঁধত মাটির তলায় আর ঘরের বইয়ের তাকে।তবে মেদিনীপুরের উই আর
যাই হোক শান্তিনিকেতনের মতো নিঃশব্দ প্রাণঘাতী নয়।সংগীত-ভবনের কাঠ পিঁপড়ের মতোও
জ্বালাময়ী নয়।কখন ঢুকে পড়বে খেয়ালই হবে না।পরে তাদের সুচারু কামড়ে বোঝা যাবে।
দেশের বাড়িতে এমন কামড়
খেলে আমরা বাগানের ঘৃতকুমারীর রস মেখে নিতাম। কিম্বা বিছের কামড় খেলে সেই
বিছেটাকেই মেরে তার রস লাগিয়ে নিতাম।কিন্তু শান্তিনিকেতনে সে সুযোগ কালে ভদ্রে
জোটে।শুনেছি শান্তিনিকেতনে নাকি সাপে কাটলে মানুষ মরে না সাপটাই মুহুর্তে
প্রাণত্যাগ করে।মেদিনীপুরের খরিশ,কেউটে কিন্তু মারাত্মক।ওরা উইয়ের মতো ভিটেমাটিতেই
থাকে।আর ঘুঘু বাসা করত ঘরের দর দালানে।কামিণী গাছে বাবুই পাখির বাসার মতো বাসা করত
বাউল টুনটুনি।রঙ্গন গাছে বাসা বানাত বুলবুলি।আমরা রঙ্গন ফুল তোলার সময় তাদের
দেখতাম।রঙ্গন ফুলের মালা গাঁথতাম এক অদ্ভূত প্রক্রিয়ায়।আমরা বলতাম এগুলো ‘বিনি
সুতোর মালা’।প্রথমে ফুলের ভেতরের মধুটা চুষে খেতাম তারপর একটা ফুলের ডাঁটি আর একটা
ফুলের পাপড়ির দিকে ঢুকিয়ে দিতাম।এইভাবেই হয়ে যেত আমাদের বিনি সুতোর মালা।কাঠচাঁপা
ফুলেও এমন মালা গাঁথা যায়।
আমাদের দেশের বাড়িতে
মুচকুন্দ ফুলের গাছ ছিল না।অমলতাসও ছিল না।বেল ছাড়াও কঁদ বেল আর কেন্দুপাতার গাছ
ছিল।ওখানে সবাই ওর ফলকে গাব বলে।আর ছিল নোনাআতা গাছ।আতাগাছ সেতো ছিলই।আঁশফলের গাছও
ছিল।এখন আঁশফফল কিনে খেতে হয়। আশশ্যাওড়া গাছও ছিল।তাতে পেত্নী থাকতে দেখিনি তবে
সোনাপোকা থাকত।আমরা দেশলাই বাক্সে তাদের পুষতাম।যেমন হোমিওপ্যাথির ছোটো শিশিতে
জোনাকি ভরে রাখতাম।হরলিক্স কি ভিভার খালি কাচের শিশিতে খলসে মাছ পোষাটাও ছিল এক
নেশা। আর কাচপোকা ধরে জমানো ছিল মজার খেলা।জ্যোৎস্না রাতে গাছে গাছে লুকোচুরি
খেলাটাও কম মজার ছিল না।কিম্বা মাঝ রাতে চাঁদের সঙ্গে কথা বলা।একলা মাঠে একটা একটা
করে তারা গোনা আর উল্কার ছুটে যাওয়া দেখে মন খারাপ হয়ে যাওয়া।সে দিনগুলো কোথায়
হারিয়ে গেল......।?নাকি এখনও কোথাও না কোথাও আছে আমরাই কেবল হারিয়ে ফেলেছি?
ঠিক যেমন এখনও ডাকঘর
আছে।কারও কারও কাছে হয়ত রাজার চিঠিও আসে। তবে পোস্ট অফিস থেকে সুন্দর খামে আমার
কাছে যে চিঠি আসে তাতে কারও হাতের লেখা থাকে না।থাকে মোবাইল কি ক্রেডিট কার্ডের প্রিন্টেড
বিল যার পেমেন্টের শেষ তারিখ আগেই শেষ হয়ে গেছে হয়তো।
আমি কান পেতে আছি......।
উত্তরমুছুনPiyali Palit উফফ, কি আনন্দ, সেই ছোটবেলার শান্তিনিকেতনের দিনগুলো একছুটে ফিরে এল তোমার লেখার মধ্যে দিয়ে। প্রথমে দক্ষিণপল্লীর পরে গুরুপল্লীর বাড়ীতে ঠিক এ রকমই বাগান ঘেরা বাড়ী আর শৈশব ছিল আমাদের। যদিও দুটি বাড়ীই ছিল বস্তুতঃ বিশ্বভারতীর কোয়ার্টার, পৈত্রিক নয়। তখনও পিছনে...See more
উত্তরমুছুনUnlike · Reply · 2 · 3 June at 17:27
Piyali Palit
Piyali Palit সামনের হাতীপুকুরে ছিপ দিয়ে মাছ ধরার কথা আরেক দিন বলব। বর্ষা এসে গেলে তো রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হত। শীতকালে বীরেন্দাদের ধানক্ষেত থেকে ল্যাটামাছ লাফাতে লাফাতে যেত হাতিপুকুরের দিকে, মাঝখানে পড়ত আমাদের বাড়ী আর উঠোন। একবার ছোটো ছোট কচ্ছপ উঠতে শুরু করেছিল। বীরেনদা বললেন ও-গুলোকে বলে 'কাউঠা'।
Unlike · Reply · 3 · 3 June at 17:37